Site icon Jamuna Television

সার্জেন্ট মহুয়ার বাবাকেই দায়ী করে জিডি করলেন বিচারপতির ছেলে

ফাইল ছবি।

প্রাইভেটকার চাপায় পা হারানো সার্জেন্ট মহুয়ার বাবা মনোরঞ্জনের ওপরই দুর্ঘটনার দায় চাপিয়ে জিডি করেছেন সেই বিচারপতির ছেলে। জিডিতে বিচারপতির ছেলে সাঈদ হাসান বলেছেন, তার গাড়িটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়নি। বরং বেআইনিভাবে উল্টো দিক থেকে মনোরঞ্জনই তার গাড়িতে লাগিয়ে দেন। এতে তিনি ও তার স্ত্রীর প্রাণহানির অবস্থা তৈরি হয়েছিল। তাই উল্টো পথে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য এই দুর্ঘটনার সম্পন্ন দায়-দায়িত্ব মনোরঞ্জনের ওপরই বর্তায়।

১৪ দিন ঝুলিয়ে রেখে ১৬ ডিসেম্বর বনানী থানা এজাহার হিসেবে নেয় মহুয়া হাজংয়ের অভিযোগ। কিন্তু বিচারপতির ছেলের জিডিটি করা হয়েছে গত ১৪ ডিসেম্বর। বনানী থানায় করা জিডিতে হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারণে পুলিশকে ঘটনা জানাতে দেরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

জিডির কপিতে দেখা যায়, এটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর গাজী। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণার ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পরে এ দায়িত্বে আসেন তিনি।

পড়ুন: গাড়ি চাপা দিলো বিচারপতির ছেলে, পুলিশের মামলাই নিচ্ছে না পুলিশ! (ভিডিও)

জিডিতে ঘটনার বর্ণনায় সাঈদ হাসান উল্লেখ করেছেন, ২ ডিসেম্বর রাতে মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে নেমে চেয়ারম্যান বাড়ির ইউলুপ ঘুরছিলেন তিনি। এ সময় উল্টো দিক থেকে এসে মনোরঞ্জনের মোটরসাইকেলটি তার গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়িটি সেখানেই প্রাচীরে লেগে যায় এবং প্রাণহানির ঘটনার সম্মুখীন হয়। এতে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও তার স্ত্রীর ডান হাতে তিনটি আঙ্গুল ফ্র্যাকচার হয়।

সাঈদ হাসান দাবি করেন, এ সংঘর্ষের পরও মনোরঞ্জন হাজংকে গ্রীন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। সেখানে দুই দফায় আর্থিক সহযোগিতাও করেন। পরে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে অপারেশনের ব্যবস্থা, কেবিন বরাদ্দ, এমনকি মেডিকেল বোর্ড গঠন করাসহ যাবতীয় বন্দোবস্ত করেন।

পড়ুন: বিচারপতির ছেলের গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনা; অবশেষে মামলা

জিডিতে আরও বলা হয়, দুর্ঘটনায় তার কোনো দোষ না থাকায়, ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেয়নি আর গাড়িও আটক করেনি। অহেতুক হয়রানি, অপপ্রচার, মিথ্যা মামলা, মানসিক নির্যাতন, অর্থের জন্য চাপ দেয়াসহ নানা আশঙ্কা থেকে প্রকৃত বিষয় উদঘাটনের জন্য তদন্তে অনুরোধ জানান।

Exit mobile version