Site icon Jamuna Television

শহিদ বে‌দীতে জুতা পরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী সভা

শহীদ বেদীতে জুতা প‌ড়ে নির্বাচনী সভা।

স্টাফ রি‌পোর্টার, পটুয়াখালী:

শহীদ মিনারের বেদীতে পায়ে জুতা পরে নৌকা প্রার্থীর নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সভায় নৌকা প্রার্থী নিজে জুতা পরে এক‌টি চেয়ারে বসা ছিলেন।

ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের এ ছত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মা‌ঠের শহীদ মিনারে। ঘটনা‌টি সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলের হ‌লেও সামা‌জিকমাধ‌্যমে ছ‌ড়ি‌য়ে প‌ড়েছে শ‌নিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরের পরে।

সামা‌জিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছ‌ড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় শহীদ মিনারের সামনে অর্থাৎ বেদীর ওপর সাজানো চেয়ারের সারিতে বসে ছিলেন নৌকার প্রার্থী একে সামসুদ্দিন এবং দলীয় নেতাকর্মীরা। তাদের মধ্যে মাত্র তিনজন বাদে সকলের পায়ে জুতা ছিল। এর মধ্যে সামনের সা‌রিতে কয়েকজন বসা ছিল বাকীরা বেদীতে দাঁড়িয়েছিল।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ কে সামসুদ্দিন আবু মিয়া শ‌নিবার রাতে মু‌ঠো‌ফো‌নে জানান, জুতা পরে সেখানে যাই নাই। প্রশ্নই আসে না। বৈঠক ক‌রে‌ছি শুধু। কিন্তু ছ‌বিতে তার পা‌য়ে জুতা পরে দেখা যাওয়া প্রসঙ্গে আবু মিয়া ব‌লেন, এগুলো ভুয়া। আমি কি আওয়ামী লীগ ক‌রি না? এটা বুঝতে হবে। আমি এখন একটা উঠান বৈঠকে আছি, পরে কথা বলবেন বলে ফোনের লাইন কেটে দেন তিনি।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ কে সামসুদ্দিন আবু মিয়া রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং চরমোন্তাজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর চরমোন্তাজ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনু‌ষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী একে সামসুদ্দিন আবু মিয়ার (নৌকা) সমর্থনে এ সভাটি হয়।

চরমোন্তাজ পু‌লিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান জানান, সোমবার বিকেলে এ ছত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নৌকা প্রার্থীর সভা হ‌য়ে‌ছিল। কিন্তু সেখানে বে‌দীতে জুতা পরার বিষয়‌টি তার জানা নাই কারণ প্রার্থী‌দের বৈঠ‌কে কোনো পু‌লিশ সদস‌্য উপ‌স্থিত থাকে না।

চরমোন্তাজ এ ছত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন জানান, আমি ঘটনার সময় সেখানে ছিলাম না। তবে জুতা নিয়ে শহীদ মিনারে ওঠা নিন্দনীয় ব‌্যাপার।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান মুঠোফোনে জানান, গণমাধ‌্যমকর্মীদের মাধ‌্যমে বিষয়টি জানতে পেরে‌ছি। এ‌টা দুঃখজনক। এ ব্যাপা‌রে আমরা খোঁজ খবর নি‌চ্ছি।

Exit mobile version