ক্ষমা চাওয়ার পরও আলালের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

|

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, নারায়ণগঞ্জ:

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের ‘খ’ অঞ্চলে এই মামলার আবেদন করা হয়। যদিও গত ১৪ ডিসেম্বর মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ও বক্তব্যটি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন

সম্প্রতি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের একটি বক্তব্য নিয়ে নানা পর্যায়ে শুরু হয় আলোচনা। ওই বক্তব্যের জন্য করা মামলার আবেদনে বাদী হয়েছেন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আকরাম হোসেন বাদল। তার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা আদালতে মামলার আবেদন দাখিল করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নুরুল হুদা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে কটূক্তি ও আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন আলাল। এই বক্তব্যের কারণে তার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলার আবেদন করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি আদালত বিবেচনায় রেখেছেন। এই বিষয়ে এখনও কোনো আদেশ দেননি।

প্রসঙ্গত বক্তব্যটি আলোচনায় আসার পর থেকেই এ নিয়ে প্রতিবাদ করে আসছিল আওয়ামী লীগ, অস্বস্তি ছিল বিএনপির ভেতরেও। তবে গত ১৪ ডিসেম্বর মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।  এক বিবৃতিতে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, দীর্ঘ ৪৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনে জ্ঞাতসারে কিংবা ইচ্ছাকৃত কারও সম্মান, অনুভূতি, বিশ্বাসে আঘাত করিনি। তবুও মানুষ হিসেবে আমি তো ভুলের ঊর্ধ্বে নই। তাই বলছি, কোনো অসতর্ক মুহূর্তের কথা কিংবা বক্তব্যে যারা কষ্ট পেয়েছেন, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন অনুভুতিতে, তাদের সকলের নিকট আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

একই সঙ্গে ওই বক্তব্য তিনি প্রত্যাহার করছেন বলেও জানান। এছাড়া ওই বিবৃতিতে আলাল বলেন, আমি প্রিয় স্বদেশভূমি থেকে হাজার মাইল দূরে জীবন সংকটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি।

প্রসঙ্গত, আলালের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে মামলার খবরও পাওয়া যায়। এর প্রতিবাদে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিন্দা জানিয়েছিলেন। আলালের বক্তব্যকে গুরুতর নয় দাবি করে তিনি বলেছিলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি সব সময় সোচ্চার থাকেন। সে জন্যই সরকার তাকে টার্গেট করে ছাত্রলীগ নেতাকে দিয়ে শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে। সরকারের বিরুদ্ধে ন্যায়সঙ্গত সমালোচনা করার জন্যই মোয়াজ্জেমকে হয়রানি করারও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply