Site icon Jamuna Television

‘কাপড়ের মাস্ক ফ্যাশনেবল, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে অকার্যকর’

ছবি: সংগৃহীত।

করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে এবার রঙিন, ফ্যাশনেবল এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপড়ের মাস্ক নিয়েও সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসের অধ্যাপক ট্রিশ গ্রিনহালঘ বলেন, সব ধরনের কাপড়ের মাস্ক ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর নয়। একাধিক উপকরণের মিশ্রণে তৈরি দুই বা তিন স্তরের মাস্কগুলো ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে। বেশির ভাগ কাপড়ের মাস্ক কেবলই ‘ফ্যাশনের জিনিস’।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন চিকিৎসা বিশ্লেষক ড. লিয়ানা ওয়েন বলেন, ওমিক্রনের বিস্তার রোধে কাপড়ের মাস্ক কোনো কাজেরই নয়। তিনি বরং জনগণকে তিন স্তরের মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করতে চান। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিষয়ক ফেলো অ্যাশলি স্টিকজিনস্কি গত অক্টোবরে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে বলেছিলেন, কাপড়ের মাস্কের কার্যকারিতা নিয়ে মাঠ পর্যায়ে খুব কম গবেষণা হয়েছে।

তিনি বলেন, একাধিক ল্যাবরেটরিতে মাস্কে ব্যবহৃত বিভিন্ন কাপড়ের জীবাণু আটকানোর সক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেখা গেছে, কাপড় বা ফ্যাব্রিক অ্যারোসল আকারের বস্তুকণার মাত্র ১০ থেকে ৩০ শতাংশ ঠেকিয়ে দিতে পারে। যেখানে এন৯৫ বা অন্যান্য সার্জিক্যাল মাস্ক অ্যারোসল আকারে বস্তুকণা প্রায় ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত ঠেকিয়ে দিতে পারে।

গ্রিনহালঘ আরও বলেন, পরিবেশবান্ধব বা সামর্থ্যের কথা ভেবে মানুষ কাপড়ের মাস্ক বেছে নেন। কারণ এটি বারবার ধুয়ে পরা যায়। কিন্তু অ্যারোসলের মতো বস্তুকণা ঠেকিয়ে দিতে পারে এমন পুনর্ব্যবহারযোগ্য মাস্ক বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। কাপড়ের মাস্কের প্রধান সমস্যা হলো, এটি কোনো ধরনের স্বাস্থ্য মান পূরণ করে না।

আরও পড়ুন: ভারতে ওমিক্রন শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৩৮

Exit mobile version