Site icon Jamuna Television

পাঁচ দলের মধ্যে পঞ্চম হয়েও তৃপ্তির ঢেঁকুর বাংলাদেশের!

তলানিতে থেকে আসর শেষ করলো বাংলাদেশ।

পাঁচ দলের মধ্যে পঞ্চম হয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকি শেষ করলো বাংলাদেশ। বরাবরের মতো ঘরের মাঠের এই আসরেও প্রাপ্তি শুধু অভিজ্ঞতা অর্জন। আর এ নিয়েই খেলোয়াড়দের কণ্ঠে আত্মতুষ্টির সুর ও তৃপ্তির ঢেঁকুর! তাদের চাওয়া জাতীয় দল নিয়ে হোক দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। একই সুরে কথা বললেন ফেডারেশন কর্তারাও।

সমুদ্রে ডুবতে বসা মানুষ খড়কুটো আকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। দেশের হকির অবস্থা অনেকটা তেমনই। দেশের মাটিতে হকির সবচেয়ে বড় আয়োজন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাঁচ দলের মধ্যে পঞ্চম হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। যেখানে টুর্নামেন্টের সফল আয়োজনের সঙ্গে বাড়তি প্রাপ্তি এশিয়ার বড় দলগুলোর সঙ্গে খেলতে পারা।

হকি দলের খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমি বলেন, এ ধরনের টুর্নামেন্টে আমি কখনোই খেলিনি। পাঁচটি দলই খুব ভালো ছিল। আমার এবং আমাদের জন্য তাই এটা একটা বড় প্রাপ্তি। তবে ভালো কিছু করার ইচ্ছে থাকলে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে আমাদের। নইলে প্রতিবার এভাবেই সবার শেষে টুর্নামেন্ট শেষ করে আবার সব বন্ধ করে দিলে তো সাফল্য আসবে না।

এর আগে ২০১৭ সালে সবশেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। এবার ৪০ মাস পর আবারও আন্তর্জাতিক মঞ্চে। মাত্র ১০ দিনের প্রস্তুতিতে ফলাফল সেই একই। অভিজ্ঞতা অর্জনেই তৃপ্তির ঢেকুর সব মহলে। সাবেক হকি খেলোয়াড় এহসান রানা যেমন বলেন, এমন দলের সাথে খেলতে পারাই তো অনেক। ইতিবাচকভাবে দেখলে এই আসর থেকেও অনেক প্রাপ্তি খুঁজে নিতে পারবে খেলোয়াড়রা।

রাসেল মাহমুদ জিমি আরও বলেন, আমাদের পারফরমেন্স ভালো ছিল। আমাদের দক্ষতাও আছে যেকোনো দলকে হারানোর। তবে দীর্ঘমেয়াদী ট্রেনিংয়ের মধ্যে থাকলে আমাদের পারফরমেন্স ভালো হতো।

সমস্যার কারণ সবারই জানা। তবে জানা নেই সমাধান। ফেডারেশন কর্তারাও বলছেন, পাল্টাতে হবে দৃশ্যপট। হকি ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রশীদ শিকদার বলেন, আমরা অনেকবারই বলি যে করবো। কিন্তু করতে পারছি না। হকির ক্যাম্প যদি কমপক্ষে তিন মাসেরও হতো, আমাদের পারফরমেন্স ভালো হতে পারতো। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হচ্ছে, আমরা ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ খুবই কম খেলি।

টুর্নামেন্ট আসে টুর্নামেন্ট যায়। পাল্টায় না দেশের হকির চেহারা। আয়োজনের আমেজ শেষ না হতেই প্রকট হয়ে উঠে কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্ব। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকির অভিজ্ঞতা কতটা কাজে লাগাবে ফেডারেশন, সেটাই দেখার অপেক্ষা।

Exit mobile version