Site icon Jamuna Television

ত্রুটিপূর্ণ ছিল ইঞ্জিন, সিগারেট-কয়েল থেকে লাগতে পারে আগুন

অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন ছিল ত্রুটিপূর্ণ। সাথে ইঞ্জিন রুমে সিগারেট কিংবা মশার কয়েল থেকেও আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। ঝালকাঠিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী জানান, তদন্তের পরই দুর্ঘটনার কারণ বেরিয়ে আসবে। ২০২২ সাল পর্যন্ত লঞ্চটির ফিটনেস ও রুট পারমিট ছিল বলে জানান তিনি।

বরগুনা-ঢাকা রূটে দীর্ঘদিন ধরেই চলাচল নৌযানটির। এই রুটে চলাচল করা অন্য নৌযানের স্টাফদের দাবি, লঞ্চটির ইঞ্জিন প্রায় গরম হয়ে যাওয়ার খবর জানতেন তারা। যাত্রীরাও সেই একই অভিযোগ করেছেন। ফায়ার সার্ভিস বলছে, লঞ্চটির একটি ইঞ্জিনে ত্রুটি থাকার কথা জেনেছেন তারা। পাশাপাশি ইঞ্জিন রুমে সিগারেটের আগুন অথবা মশার কয়েল থেকেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া ইঞ্জিন রুমে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লাগতে পারে বলে কেউ কেউ বলছেন।

এই লঞ্চলের মালিক হামজালাল থাকেন রাজধানীতে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নৌপ্রতিমন্ত্রী জানান,
২০২২ সাল পর্যন্ত নৌযানটির রূট পারমিট আর ফিটনেস আছে লঞ্চটির। এ ঘটনায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে একজন যুগ্মসচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না বলেও জানান নৌপ্রতিমন্ত্রী।

এছাড়া বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে ছয় সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সাইফুল ইসলামকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে, তা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল আলমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে।

লঞ্চ দুর্ঘটনার শিকারদের গা শিউরে ওঠা বর্ণনার ভিডিও দেখুন এখানে। ঝালকাঠিতে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের ভর্তি করা হয়েছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে। যদিও বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে দগ্ধরা। প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

/এডব্লিউ

Exit mobile version