Site icon Jamuna Television

শুভ বড়দিন আজ

ছবি: সংগৃহীত

খ্রিষ্টাধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন (ক্রিসমাস ডে) আজ। এই দিনে (২৫ ডিসেম্বর) খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট বেথলেহেমে জন্মেছিলেন। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আনতে যিশু এই পৃথিবীতে এসেছিলেন।

বড় দিন উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনায় করেছে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। রাজধানীর বেশ কয়েকটি গির্জায় এ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থনায় বিশ্ব শান্তি ও মানুষের সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। এবছর করোনার কারণে প্রার্থনার সময়সূচীর পরিবর্তন করা হয়। রাত ১২টার প্রার্থনার সময়সূচী এগিয়ে এনে রাত ১০টার মধ্যে সকল ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হয়। গির্জায় বড়দিনের যেসব ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের বাইরে লোকসমাগম হয়, সে ধরনের উদযাপনে খ্রিষ্টভক্তদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীসহ সকলের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে শুক্রবার সন্ধ্যায় পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীসহ সকলের জন্য অশেষ আনন্দ ও কল্যাণ কামনা করে বলেন, সবার জীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক।

প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এই দেশ আমাদের সকলের। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি।

বড়দিন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ছুটি সত্ত্বে শনিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অপরদিকে দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিষ্টান পরিবারে কেক তৈরি করা হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের অনেক অঞ্চলে আয়োজন করা হয়েছে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অনেকেই আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বড়দিনকে বেছে নেন। পরিবারের সদস্যদের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিতে অনেকেই রাজধানী ছেড়ে গিয়েছেন গ্রামের বাড়িতে।

এদিকে, রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর রঙিন করা হয়েছে। ভেতরে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোতে আলোক সজ্জার পাশাপাশি হোটেলের ভিতরে কৃত্রিমভাবে স্থাপন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি ও সান্তাক্লজ ।

Exit mobile version