Site icon Jamuna Television

ইউক্রেনের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা অসম্ভব: পুতিন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেনের মাঝে উত্তেজনা ও বাগযুদ্ধ চলছেই। এরই মাঝে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্পষ্ট বার্তায় বলেছেন, প্রতিবেশী সরকারের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা অসম্ভব। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) এই কথা বলার সাথে তিনি আরও জানান, কট্টরপন্থী এবং পশ্চিমা প্রভাবের কারণেই আসছে না সমাধান। এদিকে, আঞ্চলিক সংকট নিরসনে জানুয়ারিতে মস্কোর সাথে দ্বিতীয় দফা সংলাপে আগ্রহী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

রাশিয়া-ইউক্রেনের সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে মাসব্যাপী সামরিক মহড়া শেষ করলো রাশিয়ার সেনাবাহিনী। প্রতিবেশী ইউক্রেনের দাবি, অন্ততঃ ১০ হাজার সেনাকে স্থায়ী ঘাঁটিতে ফেরত নিয়েছে পুতিন সরকার। আগ্রাসন চালাতে আঁটঘাঁট বেঁধে তারা ফিরবেন রোসতোভ-ক্রাসনোদার ও ক্রাইমিয়ার মতো এলাকাগুলোয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত জ্যাভেলিন মিসাইল ছুঁড়ছে ইউক্রেনের সেনা। ছবি: সংগৃহীত

বারবার আন্তর্জাতিক মহল থেকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি এলেও তাতে দমবার পাত্র নয় রাশিয়া। উল্টো প্রেসিডেন্ট পুতিন জানান, সমাধানের ইচ্ছে থাকলেও বিবাদপ্রিয় প্রতিবেশীর কারণেই সেটি সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, বির্তকিত দোনবাস এলাকার ভবিষ্যৎ নিধার্রণ করবেন সেখানকার বাসিন্দারা। রাশিয়া বড়জোর মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ, এলাকাটির নাগরিকদের সাথে কথাই বলতে চায় না ইউক্রেন। উল্টো তাদের দিয়েছে সন্ত্রাসী আখ্যা। প্রেসিডেন্ট ভোলদিমের জেলেনস্কির ওপর জাতীয়তাবাদী এবং কট্টরপন্থীদের প্রভাব স্পষ্ট। এমন সরকারের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা অসম্ভব।

আরও পড়ুন: ভারতে লেডিস হোস্টেলে চিতাবাঘের আক্রমণ, আহত ১৫

কিয়েভের হয়ে মধ্যস্থতার ভূমিকায় নেমেছে ওয়াশিংটন। বিবৃতিতে জানিয়েছে, জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় সংলাপে বসতে ইচ্ছুক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনার পেছনে রয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর তৎপরতা। দেশটির রাজনীতিকদের বক্তব্যও ছড়াচ্ছে উসকানি। সমাধানের উদ্দেশ্যে জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে কূটনৈতিক সংলাপ চান মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধান। তৃতীয় বিষয়টি হলো, ন্যাটো আগ্রাসী নয় বরং প্রতিরোধমূলক বাহিনী। সুতরাং, মিথ্যা দোষারোপ থেকে বিরত থাকুন।

বুধবারই, ইউক্রেনের মুখ্য প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ওলেকজাই দানিলোভ জানান, সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে এক লাখ ২২ হাজারের মতো রুশ সেনা। নিরাপত্তা রেখা থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরেই অবস্থান করছে তারা।

আরও পড়ুন: ঘনিষ্ঠ পুরুষ সঙ্গী ছাড়া দূরে ভ্রমণ করতে পারবেন না আফগান নারীরা

Exit mobile version