Site icon Jamuna Television

পাঙ্গাসের এলাকা টাঙ্গাইলের আটিয়া গ্রাম

টাঙ্গাইলের আটিয়া গ্রামের নতুন পরিচয় এখন পাঙ্গাসের এলাকা নামে। দেলদুয়ার উপজেলার এই গ্রামের পাঙ্গাসের সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। বাড়ি-বাড়ি পুকুর। ঘরে-ঘরে পাঙ্গাস চাষি।

পাঙ্গাসের গ্রামের সবাই এখন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী। পুকুরের মাটি ও পানির গুণগত মান এবং পুষ্টিকর খাবারে উৎপাদিত পাঙ্গাস জেলার মানুষের আস্থা কুড়িয়েছে। তবে চাষিদের দাবি মৎস কর্মকর্তাদের নজর নেই তাদের প্রতি।

আক্ষরিক অর্থেই আটিয়ার ঘরে-ঘরে তৈরি হয়েছে পাঙ্গাস চাষি। প্রায় দেড় শতাধিক পুকুরে চাষ হচ্ছে মাছটি। পোনা মজুদ, চাষ, মাছ ধরা, এমনকি বাজারে বিক্রি কার্যক্রমে যুক্ত গ্রামের অন্তত দুই শতাধিক পরিবার। দুই যুগের পাঙ্গাস চাষে গ্রামের অধিকাংশ পরিবার এখন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী।

তবে এলাকার পাঙ্গাস চাষিরা বলছেন, ৮শ টাকা মূল্যের মাছের খাবারের বস্তা এখন সংগ্রহ করতে হয় ১৮শ টাকায়। যদিও মাছের দাম রয়েছে আগের মতোই। অভিযোগ রয়েছে, মৎস কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাচ্ছেন না চাষিরা।

টাঙ্গাইল জেলার সর্বত্রই আটিয়া অঞ্চলের মাছের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে। তৈরি হয়েছে আগের চেয়ে বাড়তি চাহিদা। দেলদুয়ার উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান জানালেন, মৎস অফিস চাষীদের জন্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন তারা। প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনাও দিচ্ছেন কর্মকর্তারা।

কিন্তু চাষিরা প্রণোদনার দাবি তুলেছেন। তারা বলছেন, এতে পাঙ্গাস চাষে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠবেন।

/এডব্লিউ

Exit mobile version