Site icon Jamuna Television

বিয়ের জন্য সরকারি চাকরিজীবী পাত্র না পাওয়ায় আত্মহত্যা

প্রতীকী ছবি।

গ্রামের সকলেই তাকে একডাকে ভালো মেয়ে বলে চিনতেন। পড়াশোনা শেষ করার পর দীর্ঘ দিন ধরেই তার জন্য পাত্রের খোঁজ চলছিল। বিয়ের জন্য মেয়ের একটিই শর্ত ছিল, পাত্রকে হতে হবে সরকারি চাকরিজীবী। তবে শর্তপূরণ না হওয়ায় কোনো পাত্রকেই মনে ধরছিল না বছর ছাব্বিশের মেয়েটির। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সে মেয়ে আত্মহত্যা করেন বলে তার পরিবারের দাবি।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদের কান্দিতে মেয়েটির আত্মহত্যা করার কথা শুনে পাড়াপড়শিদের দাবি, সরকারি চাকরিজীবী পাত্র না মেলায় মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তার নাম শিল্পী ঘোষ।

পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কান্দির খড়গ্রামের গুরুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা শিল্পী ঘোষের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। তারাই খড়গ্রাম থানায় খবর দেন। পুলিশ কর্মকর্তারা গলায় গামছার ফাঁসে শিল্পীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন। এরপর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শিল্পীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন: পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ওপর হামলা; চিড়িয়াখানায় বাঘকে গুলি করে হত্যা

কান্দি মহকুমা হাসপাতাল মর্গে শিল্পীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শিল্পী আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে তার পরিবার। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে খড়গ্রাম থানা। ভাইয়ের একমাত্র মেয়ের মৃত্যুতে হতবাক শিল্পীর কাকা সঞ্জীব মণ্ডল। তিনি বলেন, স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করার পর থেকেই শিল্পীর জন্য পাত্রের খোঁজ করছিলেন ভাই। তবে জমিজায়গা, টাকাপয়সা রয়েছে, এমন পাত্রদের দেখাশোনা করা হলেও সরকারি চাকরিজীবী পাত্র ছাড়া বিয়েতে রাজি হয়নি শিল্পী।

Exit mobile version