Site icon Jamuna Television

দুই বছর পর চাঙ্গা গদখালীর ফুলের বাজার, দুই দিবসে বেচাকেনা দেড় কোটি টাকা

করোনার কারণে গত দুই বছর যশোরের ফুলচাষিরা ক্ষতির সম্মুখিন হলেও এবার তারা ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছেন। এ বছর বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসে প্রায় কোটি টাকার ফুল বিক্রি করেছেন। এছাড়া ইংরেজি নববর্ষ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস কিংবা পহেলা ফাল্গুন ও পহেলা বৈশাখে পরিস্থিতি ভালো থাকলে তাদের ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।

ডিসেম্বর মাসের দুই দিবস আর পহেলা জানুয়ারি ঘিরে আগের তুলনায় বেচাকেনা বেড়েছে গদখালীর ফুল বাজারে। চাহিদা বেশি থাকায় আগের বাজারদর থেকে বেশি দামে ফুল বিক্রি হয়েছে। প্রতিদিন ভোরে এই ফুলের হাট বসে গদখালীতে। গত দুই দিবসে বাজারটিতে কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে গাঁদা ফুল। এখন বাজারে প্রতি হাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে। যা আগে দাম ছিল দেড়শ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫০-৩০০ টাকা। একেকটি গোলাপ বিক্রি হয় ৪-৬ টাকায়। যা আগে ছিল দেড় থেকে ২ টাকা।

তবে অনেকে বলছেন, এখনও তারা ক্ষতিতে আছেন। করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নেবার মতো নয়। এছাড়া ফুলের দাম এখন কম বলেও তারা অভিযোগ করেন। তারা বলেন, ফুলের দাম আর একটু বেশি হলে লাভবান হতে পারতেন। বর্ষায়ও ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া গাছে নতুন ভাইরাস লেগেও ক্ষতি হয়েছে।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, যশোর জেলার আট উপজেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয়। তার মধ্যে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারার প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কৃষক ৬ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ করছেন। প্রায় দুই বছর ধরে করোনাভাইরাস, লকডাউন, আম্পান ঘূর্ণিঝড় ফুলচাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। গত তিন দিনে প্রায় কোটি টাকার ফুল বিক্রি হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।

ডিসেম্বর থেকে ফুলের চাহিদা বেড়েছে। সেই সাথে আগের চেয়ে দামও বেড়েছে কয়েকগুণ। আগামী ফেব্রুযারি মাসে অনেক ফুল বিক্রি হবে বলে তারা আশা করছেন।

/এডব্লিউ

Exit mobile version