Site icon Jamuna Television

নিরাপত্তার চাদরে রাজধানীর থার্টি ফার্স্ট নাইট

ছবি: সংগৃহীত

ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার উৎসবের সেজেছে রাজধানী ঢাকা। তবে এই উৎসব অনেকটাই ঢেকে গেছে নিরাপত্তার চাদরে। রাত বাড়ার সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি টহল শুরু হয়েছে। মোড়ে-মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ সদস্যরা। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ঢাকাবাসী প্রত্যক্ষ করছে পাল্টে যাওয়া এক শহরের রূপ।

শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ৯টার পরই রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোর দোকানপাট বন্ধ হতে শুরু করে। দোকান মালিকরা দ্রুত দোকান বন্ধ করে ধরেছেন বাড়ির পথ। এছাড়া শহরের অভিজাত এলাকাগুলোর প্রবেশাধিকার রাখা হয়েছে অনেকটাই সংরক্ষিত।

এর আগেই জানানো হয়েছিল, থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো পার্টি করা যাবে না। শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সকল বার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও করোনা মহামারির কারণে থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘরে বসে উদযাপন করতে হবে।

আরও পড়ুন: থার্টি ফার্স্ট নাইটে বার বন্ধ থাকবে, ডিজে পার্টি করা যাবে না: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেন জানান, রাজধানীজুড়ে ইংরেজি বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে কয়েক ধাপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে নিয়মিত পোশাক ছাড়াও সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। অভিজাত এলাকা গুলশান ও বনানীতে ঢোকার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

আলোকসজ্জায় সেজেছে রাজধানীর বিভিন্ন ভবন। এছাড়া সড়কগুলোকেও সাজানো হয়েছে আলোকবাতিতে। সন্ধ্যায় হাতিরঝিলে মানুষের তেমন একটা ভিড় দেখা যায়নি। সন্ধ্যার পর দল বেঁধে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল প্রশাসনের। তবুও বিনোদনপ্রেমীরা বের হয়েছেন ঘুরতে। নিরাপত্তার কড়াকড়ির মাঝেও নতুন বছরকে বরণ করতে উৎসাহের অন্ত নেই ঢাকাবাসীর।

আরও পড়ুন: ঘরে বসে উদযাপন করতে হবে থার্টি ফার্স্ট নাইট: পুলিশ

Exit mobile version