Site icon Jamuna Television

নেপালের থার্পু চুল্লির চূড়ায় বাংলাদেশি দুই যুবক

নেপালের থার্পু চুল্লির চূড়ায় তৌফিক আহমেদ তমাল ও ফজলুর রহমান শামিম। ছবি: সংগৃহীত

থার্পু চুল্লি, নেপালের হিমালয় ও অন্নপূর্ণা রেঞ্জের একটি পাহাড়। জনপ্রিয় ট্রেক অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প বা এবিসিতে গেলে দেখা যায় মাথা উচু করে বড় বড় পাহাড়ের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে থার্পু চুল্লি। যার উচ্চতা ৫৬৬৩ মিটার বা ১৮ হাজার ৫০০ ফুটেরও বেশি। এই পাহাড়ের ওঠার রাস্তায় ভাজে ভাজে মিশে আছে দারুন অ্যাডভেঞ্চার আর সৌন্দর্য। যা পর্বতারোহীদের বেশ আকর্ষণ করে।

বাংলাদেশের দুই যুবক গত ২৪ ডিসেম্বর উঠেছেন থার্পু চুল্লির চূড়ায়। এই দুই যুবক হলেন ফজলুর রহমান শামিম ও তৌফিক আহমেদ তমাল; তারা অ্যাডভেঞ্জার ট্যুর গ্রুপ অল্টিটিউড হান্টারের উদ্যোক্তা।

এই অভিযানের উদ্দেশে তারা ঢাকা ছাড়েন ১২ ডিসেম্বর। নেপালের পোখারা থেকে দুই প্রধান সহযোগী বা গাইড ফুরসেম্বা শেরপা ও মিংমা শেরপার সঙ্গে এই দুই বাংলাদেশি পোখারা থেকে ১৫ ডিসেম্বর রওনা দেয় অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্পের উদ্দেশে। চারদিন লাগে পৌঁছাতে। এরপর ২১ ডিসেম্বর শুরু হয় মূল অভিযান। মাঝে স্নো ফলের বাধায় পড়লেও ২৫ ডিসেম্বর সফল হন বাংলাদেশের এই দুই যুবক।

গাইডের সঙ্গে বাংলাদেশের দুই যুবক। ছবি: সংগৃহীত

অভিযানে অংশ নেয়া শামীম ও তমাল জানান, উঠতে উঠতে তারা দেখেন একপাশে দাঁড়িয়ে আছে পৃথিবীর দশম সর্বোচ্চ উচ্চতার ডেডলি অন্নপূর্ণা মেসিভ। এর পাশেই অন্নপূর্ণা সাউথ ও হিমচুলি। অন্যপাশে আছে এখন পর্যন্ত আরোহন না হওয়া মাউন্ট মাছাপুছারে, গংগাপুর্না, গ্লেসিয়ার ডোম আর সিংগু চুল্লি। থার্পু চুল্লি ঘিরে আছে পাহাড়ের এসব রথী-মহারথী।

এই অভিযান নিয়ে তৌফিক আহমেদ তমাল বলেন, এক একটা অর্জন, আরও অর্জনের ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়। আর ফজলুর রহমান শামিম জানান, এই অভিযান আগামীতে তাদের পথচলায় ভূমিকা রাখবে।

এমএন/

Exit mobile version