
অবৈধভাবে তোলা পাথর বিক্রির অনুমতি দিয়েই যেন হয়েছে ভুল। সেই সুযোগ নিয়ে একটি অসাধু চক্র দেদারসে তুলছে আরও পাথর। ইজারা না থাকলেও ট্রাক থেকে তোলা হচ্ছে টোল। সবমিলিয়ে সুনামগঞ্জে পাথর উত্তোলন নিয়ে হযবরল পরিবেশ।
সুনামগঞ্জের কোনো নদীতেই পাথর তোলার বৈধতা জারি করে ইজারা নেই। তাহলে সারবেঁধে পাথরের ট্রাক আসছে কোথা থেকে? সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের গ্রামগুলোর পাশ দিয়ে পাথর বোঝাই বাহন থেকে টাকা আদায়ের টোল প্লাজাও তৈরি হয়েছে। যানবাহনের সংখ্যা কম নয়। প্রশ্নও উঠেছে টোলের টাকা তাহলে যাচ্ছে কোথায়?
যমুনা টেলিভিশনের হাতে আসা ক্ষমতাপত্র বলছে, লুকিয়ে উত্তোলন করে ধরা পড়া ৯৩ হাজার ফুট পাথর নিলামে বিক্রির পর সেগুলো সরাতেই একমাসের সময় দেয়া হয়েছে। তবে পাথর পরিবহনে জড়িতদের দাবি, টাস্কফোর্সের অভিযানের পর নিলামে পেয়েছেন পাথর পরিবহনের বৈধতা। পাথর তোলার এলাকায় ভিডিওচিত্র ধারণেও রয়েছে বিধিনিষেধ।
টুকরিপ্রতি পাথর ৫০ টাকা ও ফুট প্রতি ৫৬ টাকায় নদীতেই ক্রয় হচ্ছে। ট্রাক প্রতি টোল আদায় হচ্ছে ৭শ টাকা করে। যমুনা টেলিভিশনের কাছে কেউ কেউ ওই পাথরের মালিকানাও অস্বীকার করেছে।
বিষয়টি দেখভালের কথা স্থানীয় প্রশাসনের, এমনটি বলা হচ্ছে বিজিবির পক্ষ থেকে। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, কোনো নদী বা খালে পাথর উত্তোলনের খবর জানা নেই তাদের। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলছেন, পাথর উত্তোলনকারীরা গভীর রাতে এসব পাথর তোলে। আর অভিযানের খবর পেলে তারা পালিয়েও যায়। তবে নিরাপত্তার দায়িত্বরতদের সামনে এমন কিছু ঘটলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেউ কেউ বলছেন, পাথর উত্তোলনকারীদের হাত নাকি অনেক লম্বা। আইন নাকি পাথর সন্ত্রাসী, কার হাত বেশি লম্বা সেটা দেখারই সময় এখন।
/এডব্লিউ
 
 
				
				
				 
 
				
				
			


Leave a reply