Site icon Jamuna Television

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত জয়-লেখক

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে সামনে বসাকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্‌দীন হল শাখা ও ঢাকা কলেজ শাখার নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। আর তা মেটাতে গিয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের মাথায় ইটের আঘাত লাগে। পরে সভাপতি আল নাহিয়ান জয় আঘাত পেলেও তা সামান্য।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লেখক ভট্টাচার্যকে হেলমেট পরিয়ে গাড়িতে করে স্থান ত্যাগ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা যায়, বটতলায় আগে এসে অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ। পরে সেখানে মিছিল নিয়ে জসীমউদ্‌দীন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আসেন। এরপর একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। তা থামাতে মঞ্চ থেকে বটতলার নিচে ছুটে যান সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

সবুজ পাঞ্জাবী পরিহিত লেখক ভট্টাচার্যকে হেলমেট পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

এই হাতাহাতি মারামারিতে পরিণত হয়। ইট, চেয়ার, বাঁশ ছোড়াছুড়িও হয়। আর তাতে সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের মধ্যে রয়েছেন জহিরুল হাসান অমি (২২), মাহাবুব (২২), হিরু (২৫), গালিব (২২), রোমান মাহমুদ (২৬), সালমান (২৩), অপু (২৫), শিমুল (২৩) ও জুবায়ের (২২)। আহতদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাড়াও ঢাকা কলেজের ছাত্রও রয়েছে।

এই সংঘর্ষের কারণে নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর অনুষ্ঠান শুরু হয় সাড়ে ৩টায়। সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে পৌনে ৪টায় অনুষ্ঠানস্থলে আসেন সম্পাদক লেখক।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমসহ অনেকে।

এরপর একটি শোভাযাত্রা বেরিয়ে মধুর ক্যান্টিন থেকে শাহবাগ-মৎস্য ভবন-কাকরাইল-পল্টন হয়ে গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

এমএন/

Exit mobile version