Site icon Jamuna Television

কাজাখস্তানে রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা

রাশিয়া থেকে দফায় দফায় সেনাবহর নামছে কাজাখস্তানের ভূখণ্ডে। শুধু সেনাই নয়, কার্গো বিমানে করে উড়িয়ে আনা হয়েছে ট্যাংক ও হামভির মতো ভারি সামরিক যান। এসব দৃশ্য দেখে যে কারও মনে হবে দেশটিতে চলছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। জনবিক্ষোভে রুশ সেনার উপস্থিতি আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীদের মধ্যে। জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে করা বিক্ষোভ সরকার পতনের আন্দোলনে গড়ালে এখন বিদেশি সেনা মোতায়েনের বিরোধিতা করছেন বাসিন্দারা।

রুশ নেতৃত্বাধীন সেনা মোতায়েন নিয়ে দেশটিতে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। ভবিষ্যতে এসব সেনা ফেরত নেয়া হবে কিনা তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। দেশটির নাগরিকরা বলছেন, তারা ওই সরকারের পতন চান। তারা চান দেশের রাজনীতিকে ঢেলে সাজানো হোক। বলেন, জানি একদিনে পরিবর্তন সম্ভব নয়, কিন্তু শান্তি প্রতিষ্ঠায় ধাপে ধাপে অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে। কিন্তু এভাবে যুদ্ধ আয়োজনের অর্থ কী?

চলমান আন্দোলন পরিস্থিতি সামাল দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে কাজাখস্তান সরকারের। তবুও বিদেশি সেনা নামানোর বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে হোয়াইট হাউজ‌ও। তবে রাশিয়ার দাবি, শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ হিসেবেই প্রতিবেশির আহ্বানে সাড়া দিয়েছে তারা। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুখপাত্র ইগোর কোনাশেনকোভ বলছেন, জোটের এসব সেনারা বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এমন পরিস্থিতি সামলানো নিয়ে তাদের দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এরই মধ্যে কাজাখস্তানের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সাথে অভিযানের কাজ শুরু করে দিয়েছে। পাঠানো হয়েছে সব ধরনের সরঞ্জাম।

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভে উত্তাল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত কাজাখস্তান। যা গড়ায় সরকার পতনের দাবিতে। এর মধ্যে মন্ত্রিসভা বিলোপের পরও আসেনি সমাধান।

প্রসঙ্গত, কাজাখস্তান পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশটিতে রুশ নেতৃত্বাধীন সেনাবহর মোতায়েন করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে।

/এডব্লিউ

Exit mobile version