
বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও তার সুফল পাচ্ছে না দেশের সাধারণ মানুষ। তেলের দাম বাড়ার অজুহাতে বাড়ানো বাস-ট্রাক–লঞ্চের ভাড়া আর কমেনি। ক্ষুব্ধ মানুষের প্রশ্ন, বিশ্ববাজারে কমলে দেশের বাজারে কেন তা হবে না? জ্বালানির দাম না কমালে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণের কথা বলে এখনি দাম কমাতে চাচ্ছে না সরকার।
এর আগে গত বছর নভেম্বরের শুরুতে এক লাফে লিটারে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১৫ টাকা বাড়ায় সরকার। ফলাফল, অস্থিরতা, গণপরিবহণে দৌরাত্ম্য। ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘট পরিবহণ মালিকদের। দফায় দফায় আলোচনা, তারপর মালিকদের দাবি পূরণ। ৭ নভেম্বর থেকে বাড়তি ভাড়া গুনছে সাধারণ মানুষ। বাস, ট্রাক, লঞ্চ ভাড়ার প্রভাব পড়েছে পণ্য ও পণ্য পরিবহণে।
দাম বাড়ানোর অজুহাত ছিল আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি আর ভারতে পাচারের আশঙ্কা। তখন প্রতি ব্যারেলের দর ছিল ৮৫ ডলার। কয়েক দফায় কমে এখন তা নেমে এসেছে প্রায় ৭০ ডলারে। প্রতিবেশী ভারতেও কমেছে দাম। প্রশ্ন হলো, দেশে ডিজেল কেরোসিনের দাম কমছে না কেন?
তেলের দামের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেকের। প্রভাব বিবেচনা না করে দাম বাড়ানোর ফল অর্থনীতির জন্য অশনিসঙ্কেত।
এসজেড/



Leave a reply