Site icon Jamuna Television

ক্যান্সারের জন্য দায়ী উগ্র লাইফস্টাইল!

ছবি: সংগৃহীত

জীবনযাপনের উপরই নির্ভর করছে সব কিছু। আপনার লাইফস্টাইলে ছোট কয়েকটি পরিবর্তন করুন। ক্যান্সার আপনাকে ছুঁতে পারবে না।

নিউজ এইটিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যান্সার গবেষণার জন্য ব্রিটেনের স্ট্র্যাটেজিক এভিডেন্স অ্যান্ড আর্লি ডায়াগনোসিস প্রোগ্রামের প্রধান ডা. জোডি মোফ্যাট বলেছেন, মানুষ যদি বেশি দিন বাঁচে তবে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকবে। তবে ক্যান্সারের বৃদ্ধি রোধ করতে আরও অনেক কিছু করা যেতে পারে। আসুন জেনে নিই কীভাবে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়…

ধূমপান- ডা. জোডি বলেছেন, ৪০ শতাংশেরও বেশি ক্যান্সার প্রতিরোধযোগ্য এবং দুটি উপায়ে এর ঝুঁকি হ্রাস করা যেতে পারে। প্রায় ৪০ শতাংশ ক্যানসার হয় আমাদের লাইফস্টাইল অর্থাৎ জীবনযাপন পদ্ধতির কারণে। এবং জীবনধারা সংশোধন করে এটি বন্ধ করা যেতে পারে। ধূমপান ক্যান্সারের অন্যতম একটি কারণ। ধূমপান শরীরের কোষগুলিতে কর্মক্ষমতার ব্যাপক বৈষম্য সৃষ্টি করে। আমরা যদি মানুষকে ধূমপান বন্ধ করতে সাহায্য করি তবে তা ক্যান্সার প্রতিরোধে খুব সহায়ক হতে পারে।

বাড়তি ওজন:
ডা. মোফাতের মতে, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে ক্যান্সারও নিয়ন্ত্রণে থাকে। কোভিডের সময় মানুষ বাড়িতে অনেকটা সময় থাকছে। ব্যায়াম হচ্ছে না। হাঁটাচলাও প্রায় বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়া জরুরি। না হলে শরীরে বাড়তি ওজন সমস্যায় ফেলতে পারে। ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি খাওয়া জরুরি। সেই সঙ্গে হালকা ও এমন খাবার খাওয়া জরুরি যাতে ক্যালরি কম এবং ফাইবার বেশি।

রেড মিট কম খেতে হবে। গবেষণায় জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ৯০ গ্রাম লাল বা প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে সমস্যা হতে পারে শরীরে। গরু এবং ভেড়ার মাংস নিয়ন্ত্রণে খেতে হবে। অন্যদিকে, প্রক্রিয়াজাত মাংসের মধ্যে রয়েছে মুরগি ও টার্কির তৈরি সসেজ, বেকন। এগুলিও ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হতে পারে।

কেউ সম্পূর্ণ সুস্থ হলেও তার ক্যান্সার হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে তার চিকিৎসার পথ খোলা থাকে। কারণ অনেক সময় মানুষ যখন সুস্থ থাকে না তখন তাদের জন্য অনেক অপশন বন্ধ থাকে, যেমন সার্জারি। অনেক সময় সুস্থ না হওয়ার কারণে সার্জারির অপশন নিতে পারেন না চিকিৎসকরা। একইভাবে কেমোথেরাপি সুস্থ শরীরেই প্রয়োগ করা হয়।

অ্যালকোহল সেবন কমানো ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজে দেয়। সূর্যের আলো প্রবল হলে এর থেকে নিজেকে রক্ষা করে ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়ানো যায়। যদি রোদে বের হওয়া খুব জরুরি হয়, তা হলে সানস্ক্রিন লাগিয়ে বের হবেন। একইভাবে অ্যালকোহলও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। বিভিন্ন ক্যান্সার যার মধ্যে রয়েছে স্তন, কোলন, ফুসফুস, কিডনি, লিভার ক্যান্সার। এসবের বৃদ্ধির কারণ নির্ভর করে আপনি যে পরিমাণ অ্যালকোহল পান করেন এবং নিয়মিত পান করেন কি না তার ওপর।

ইউএইচ/

Exit mobile version