Site icon Jamuna Television

২ মাস ধরে হত্যার পরিকল্পনা করে স্ত্রী ও তার প্রেমিক

দীর্ঘ দুই মাস ধরে আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিককে হত্যার পরিকল্পনা করে তার স্ত্রী স্নিগ্ধা ও তার প্রেমিক কামরুল মাস্টার। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগে থেকেই তাজহাট মোল্লাপাড়ার দুই কিশোরের সহযোগিতায় ২৮ মার্চ বুধবার একটি নির্মাণাধীন ভবনের ভেতরের মেঝের বালু সরিয়ে গর্ত করে রাখে তারা। পরদিন রথীশ চন্দ্রের খাবারের সাথে কৌশলে চেতনানাশক ঔষধ খাওয়ায় তারা। এরপর গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে স্নিগ্ধা ও কামরুল হত্যা করে রথীশ চন্দ্রকে।

হত্যার পর লাশ বাড়ির আলমারিতে ঢুকিয়ে রাখে তারা। এরপর আলমারি পরিবর্তনের কথা বলে তা নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির অদূরে তাজহাট মোল্লাপাড়ার সেই নির্মাণাধীন ভবনে, যেখানে আগে থেকেই গর্ত করে রাখা হয়েছিলো। পরে সেই গর্তেই লাশ পুঁতে ফেলে তারা। র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বামী রথীশ চন্দ্রকে হত্যার পুরো ঘটনাটিই নিজ মুখে শিকার করেন স্ত্রী স্নিগ্ধা।

এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত স্নিগ্ধা ও দুই কিশোর র‍্যাব-১৩’র হেফাজতে আছে। আর স্নিগ্ধার প্রেমিক কামরুল মাস্টার পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘটনার আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিং করতে রংপুরে গেছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ।

উল্লেখ্য, নিখোঁজের ৫ দিন পর স্ত্রী স্নিগ্ধা ভৌমিককে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রংপুরের তাজহাটের একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

যমুনা অনলাইন: টিএফ

Exit mobile version