Site icon Jamuna Television

আলু বিক্রি করে উঠছে না উৎপাদন খরচের অর্ধেকও, কৃষকের মাথায় হাত

সংগৃহীত ছবি।

ভালো দামের প্রত্যাশায় আগাম জাতের আলুর আবাদ করেছিলেন রংপুর সদরের কিষানি আফরোজা। কিন্তু পৌষের শেষভাগে এসে আশাহত তিনি। রংপুরের অন্যান্য কৃষকরাও বলছেন, এ বছর আলু উৎপাদনে কেজিপ্রতি খরচ ১২ থেকে ১৫ টাকা। বীজ, সার, সেচ আর কীটনাশকেও গুনতে হয়েছে বাড়তি অর্থ। কিন্তু উৎপাদিত পণ্যের বাজারমূল্য ৬ থেকে ৭ টাকার বেশি মিলছে না।

রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের চারটি কৃষি জোনে এবার পৌনে চার লাখ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। হয়েছে বাম্পার ফলনও। তবে অভিযোগ উঠেছে, ন্যায্য দর নিশ্চিতে কৃষি বিভাগের নেই কোনো তদারকি।

অথচ গতবছর এই সময়ে কেজিপ্রতি আলু বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২২ টাকায়। কেজিপ্রতি উৎপাদন খরচ যেখানে ১২ থেকে ১৫ টাকা, ৬ থেকে ৭ টাকায় সে পণ্য বিক্রি করতে হওয়ায় হতাশ কৃষকরা। সাধারণত আলুর আবাদের টাকা দিয়েই বরি ও খরিফ মৌসুমের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন এই অঞ্চলের চাষিরা। তাই নিজ জমি ছাড়াও অনেকেই লিজ নিয়ে করেন আলুর আবাদ, তাদের এবার মাথায় হাত।

গতবছর চাহিদা বেশি ছিল, সে তুলনায় যোগান ছিল কম, তাই ভালো দাম পেয়েছে কৃষক। রংপুর খামারবাড়ির প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলছেন, গতবারের দেখাদেখি এবার আবাদ বাড়িয়ে বিপদে পড়েছেন চাষিরা।

চলতি বছর রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া ও রাজশাহীর ৪টি কৃষি জোনে ৮০ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি আলু উৎপাদনের প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের।

/এডব্লিউ

সরকার মাজহারুল মান্নান, যমুনা নিউজ, রংপুর

Exit mobile version