Site icon Jamuna Television

মধ্যপ্রাচ্যগামী বিমান ভাড়া নিয়ে অরাজকতা

মধ্যপ্রাচ্যের সব রুটে আকাশপথের ভাড়া নিয়ে চলছে চরম অরাজকতা। কোনো কারণ ছাড়াই এয়ারলাইন্সগুলো হঠাৎ এসব রুটে ভাড়া হাকাচ্ছে দ্বিগুণের বেশি। কোথাও ৩-৪ গুণ ভাড়াও গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। চলমান নৈরাজ্যের মাঝে ব্যপক সমালোচনার মুখে সরকারি সংস্থা, বাংলাদেশ বিমান ভাড়া নামমাত্র কমানোর ঘোষণা দিলেও আগামী মার্চের আগে কোনো সিট খালি নেই তাদের। বিদেশি অন্য এয়ার লাইন্সগুলোরও একই অবস্থা। প্রকাশ্যে এমন অরাজকতা চললেও রহস্যজনক কারণে ননিরব সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো।

করোনা মহামারির কারণে প্রায় ২ বছর ধরে কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না লাখ লাখ প্রবাসী। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ভিসার মেয়াদ শেষের দিকে হওয়ায় ফেরার জন্য মরিয়া অনেকে। আর এ সুযোগেই ইচ্ছেমতো ভাড়া হাতিয়ে নেয়ার উৎসবে নেমেছে এয়ারলাইন্সগুলো।

মার্চ পর্যন্ত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর টিকিট নেই ট্রাভেল এজেন্টগুলোর কাছে। সরাসরি এয়ারলাইন্সগুলোতে গিয়ে এ রুটের ভাড়া দিতে হয় ২-৩ গুণ বেশি। ঢাকা-রিয়াদ রুটের ৪০ হাজার টাকার বিমান টিকিট এখন ১ লাখেও মিলছে না। ৪৫ হাজার টাকার ঢাকা-দুবাই রুটের টিকিট ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঠেকেছে।

প্রবাসীকর্মীদের অভিযোগ, আয়ের একটি বড় অংশই লুটে নিচ্ছে এয়ারলাইন্সগুলো। আর এই অরাজকতায় ক্ষুব্ধ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ও। ব্যপক সমালোচনার মুখে শর্ত সাপেক্ষে ভাড়া কমানোর ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল জানালেন, মার্চের আগে কোনো সিট ফাঁকা নেই বিমানের।

এদিকে কোনো কারণ ছাড়া আকাশপথের ভাড়া বৃদ্ধির ঘটনা দুঃখজনক বলেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।

/এডব্লিউ

Exit mobile version