Site icon Jamuna Television

নাফ নদীতে এ যাবতকালের সর্ববৃহৎ মাদকের চালান জব্দ

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি সদস্যরা নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ৪ কেজি ১৭৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত এসব মাদক দ্রব্যের আনুমানিক মূল্য বাইশ কোটি সাইত্রিশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা। যা এখন পর্যন্ত দেশের সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক জব্দকৃত ক্রিস্টাল মেথ আইসের সর্বোচ্চ চালান। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।

টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিল মোহাম্মদ ইফতেখার বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে এ নিয়ে একটি প্রেস ব্রিফিং করেন। সেখানে তিনি জানান, গতকাল রাত পৌনে ১১টার দিকে নাফ নদীর জালিয়ার দ্বীপ সংলগ্ন এলাকা থেকে আইস ও ইয়াবার এই চালানটি জব্দ করা হয়। তবে এ ঘটনায় মাদক পাচারকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে, নাফ নদীর জালিয়ারদ্বীপ সংলগ্ন এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এই সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন এর ব্যাটালিয়ন সদর এবং দমদমিয়া বিওপি হতে দু’টি বিশেষ টহল দল নাফ নদীর জালিয়ারদ্বীপে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে।

রাত পৌনে ১১টার দিকে টহলদল একটি হস্তচালিত কাঠের নৌকা মিয়ানমারের দিক থেকে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জালিয়ারদ্বীপের দিকে আসতে থাকে। নৌকাটি শূন্য রেখা অতিক্রম করে কাছাকাছি এসে পৌঁছালে বিজিবির টহলদল তৎক্ষণাৎ নৌকাটিকে চ্যালেঞ্জ করে।

এ সময় নৌকার আরোহীরা বিজিবির চ্যালেঞ্জকে উপেক্ষা করে নৌকা ঘুরিয়ে মিয়ানমার সীমান্তের দিকে চলে যেতে থাকলে বিজিবি টহলদল সন্দেহভাজন নৌকাটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে থামানোর চেষ্টা করে। এতে অজ্ঞাতনামা চোরাকারবারীরা নৌকা হতে লাফিয়ে নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে বিজিবির টহলদল স্পিড বোটের সাহায্যে নৌকাটি আটক করতে সক্ষম হয়। নৌকাটি তল্লাশী করে পাটাতনের নিচে একটি বস্তার ভেতরে লুকায়িত অবস্থায় বাইশ কোটি সাইত্রিশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যমানের ৪.১৭৫ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

পরে সংশ্লিষ্ট এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হলেও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এই চোরাকারবারীদের শনাক্ত করার জন্য ব্যাটালিয়নটির গোয়েন্দা কার্যক্রম চলছে। এ ঘটনায় মাদক বহন ও পাচারের দায়ে অজ্ঞাত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

এসজেড/

Exit mobile version