Site icon Jamuna Television

‘১২ সংস্থার চিঠিকে জাতিসংঘ হালকাভাবে নিতে পারবে না’

শান্তিরক্ষী মিশনে র‍্যাব সদস্যদের নিষিদ্ধ করতে ১২ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার চিঠিকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর এই চিঠির প্রভাব হতে পারে সুদূরপ্রসারী। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ ছাড়াও ওইসব সংস্থার সাথে কার্যকর আলোচনার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। বলছেন, একসাথে ‌১২টি সংস্থার চিঠিকে জাতিসংঘ চাইলেও হালকাভাবে দেখতে পারবে না।

র‍্যাব ও এর সাবেক বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মাসখানেক আগে এ বাহিনীকে শান্তিরক্ষী মিশনে নিষিদ্ধের দাবি ছিল মানবাধিকার সংস্থাগুলোর। সম্প্রতি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে চিঠিটি। জাতিসংঘ মহাসচিবের মূখপাত্র শুক্রবার জানিয়েছেন, মানবাধিকার তাদের অগ্রাধিকার এবং চিঠিটিকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সংস্থাটি।

বিশ্বশান্তি রক্ষায় সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশসহ প্রায় সাত হাজার সৈনিক কাজ করছে অত্যন্ত সফলতার সাথে। এদের কেউ কেউ কাজ করেছেন র‍্যাবেও। শান্তিরক্ষী মিশনে মোট খরচের প্রায় ৩০ ভাগই দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সে কারণে এর নীতি ও সিদ্ধান্তগ্রহণে তাদের প্রভাব প্রবল।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক শাহাব এনাম খান মনে করেন, একসাথে ‌১২টি সংস্থার চিঠিকে জাতিসংঘ চাইলেও হালকাভাবে দেখতে পারবে না। তিনি বলেন, এত বড় একটা নেটওয়ার্ককে তারা বাইপাস করতে পারবে না। এই বিষয়টিকে উদ্বেগজনক বলেও মনে করছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবীর মনে করেন, এ বিষয়ে জাতিসংঘ যদি এখনই কোনো ব্যবস্থা নাও নেয়, তবু বলা যায় এ নিয়ে তারা অবশ্যই অনুসন্ধান করবে। যুক্তরাষ্ট্রের যদি কোনো অবস্থান থাকে, তার সাথে যদি এ ধরনের বিষয় আলোচনায় আসে, তাহলে এটি আমাদের জন্য আশঙ্কাজনক। সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলছেন, যেসব কারণে সংস্থাগুলো র‍্যাবকে নিয়ে আপত্তি করছে, সেগুলো সমাধান করাই এখন সবচেয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত হতে পারে।

বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনার পাশাপাশি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর এমন অবস্থানের কারণ খতিয়ে দেখার তাগিদ অধ্যাপক শাহাব এনাম খানেরও। তিনি বলছেন, দোষারোপের কূটনীতি বন্ধ করার পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হতে পারে এই সংকট।

অবশ্য সরকার বলে আসছে, র‍্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ অতিরঞ্জিত।

/এডব্লিউ

Exit mobile version