Site icon Jamuna Television

বিউটির চাচা আওয়ামী লীগ নেতা ময়না মিয়া ও বাবুলের স্বীকারোক্তি

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে আলোচিত কিশোরী বিউটি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বিউটির চাচা আওয়ামী লীগ নেতা ময়না মিয়া ও মূল অভিযুক্ত বাবুল।

আজ শুক্রবার বিকালে বিউটির চাচা আওয়ামী লীগ নেতা ময়না মিয়া হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। এছাড়া মুল অভিযুক্ত বাবুল মিয়াও অপহরণ ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। পাশাপাশি বিউটির নানী ফাতেমা বেগমের জবানবন্দিও আদালত রেকর্ড করেছেন।

গত ৩১ মার্চ মামলায় প্রধান আসামি বাবুল মিয়াকে সিলেটের বিয়ানীবাজার থেকে গ্রেফতার র‍্যাব। বিউটি আক্তারকে যাতায়াতের পথে উত্ত্যক্ত করতো প্রতিবেশী ২ সন্তানের জনক বাবুল মিয়া। এ নিয়ে বিউটি অভিযোগ করলে গত ২১ জানুয়ারি তাকে অপহরণ করে বাবুল। অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। অনেক মিনতির পর ৯ ফেব্রুয়ারি গুরুতর অবস্থায় বিউটিকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয় বাবুল মিয়া।

এরপর গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা ইউপি সদস্য কলমচানকে আসামি করে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ৪ মার্চ এ মামলা গ্রহণ করে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ। কিন্তু আটক করা হয়নি বাবুল মিয়াকে। উল্টো মামলা তুলে নেয়ার জন্য শুরু হয় বিউটির পরিবারকে হুমকি ধামকি।

নিরাপত্তাহীনতায় ১৩ মার্চ বিউটিকে লাখাইয়ে নানার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে ১৬ মার্চ ফের অপহরণ করা হয় বিউটিকে। ১৭ মার্চ ব্রাহ্মণডোরা হাওরে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয় বিউটির মৃতদেহ।

Exit mobile version