Site icon Jamuna Television

নবীনগরের ওসিকে জড়িয়ে সাবেক বিএনপি নেতার বক্তব্যে তোলপাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকূট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ জাকারুল হকের জন্য নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশীদ ভোট চেয়েছেন, বিএনপির এক নেতার দেওয়া এমন বক্তব্যে তোলপাড় চলছে পুরো নবীনগরে।

ওসির ভোট চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে নির্বাচনী সভায় নৌকার প্রার্থী জাকারুলের ভগ্নিপতি ও নবীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক আবদুল আউয়ালের বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় উঠে। বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় এখন জেলা পুলিশও।

ষষ্ঠ ধাপে আগামী ৩১ জানুয়ারি বিদ্যাকূট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশীদ বিদ্যাকূট ইউনিয়নের উরখুলিয়া গ্রামে কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। নৌকার প্রার্থী জাকারুলের বাড়িও একই গ্রামে। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাতে উরখুলিয়া গ্রামে জাকারুলের সমর্থনে অনুষ্ঠিত একটি নির্বাচনী প্রচারণামূলক সভায় নিজের বক্তব্যে আউয়াল নৌকার পক্ষে ওসির ভোট চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন।

ফেসবুকে আউয়ালের বক্তব্যের একটি ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে। বক্তব্যে আউয়াল বলেন, আমাদের সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ আমিনুর রশীদ সাহেব কিছুদিন আগে আমাদের স্কুলের কেন্দ্র পরিদর্শনে এসেছিলেন। ওনি আপনাদের কাছে ভোট চেয়েছেন, আপনারা আমাকে বলেছেন। ঠিক আছে নাকি? ওনি ভোট চাওয়ার পরে তো আসলে আর কারও এখানে ভোট চাওয়ার সুযোগ নেই।

তবে নৌকার জন্য ভোট চাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় উল্লেখ করে নবীনগর থানার ওসি আমিনুর রশীদ বলেন, সে (আউয়াল) নাকি ভুলে এটা বলেছে। আমাকে নিয়ে সে তার দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে ফেসবুক লাইভে এর জবাবও দিয়েছে।

ওসিকে জড়িয়ে বক্তব্যের ব্যাপারে আবদুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের এমপি মহোদয় ভিডিও কলে উঠান বৈঠকে যুক্ত হয়ে নৌকার জন্য ভোট চেয়েছিলেন। আমি যখন সভায় আগতদের বলছিলাম, এমপি মহোদয় কি ভোট চেয়েছিল? কিছু লোক আমার কথা বুঝতে পেরেছে, কিছু লোক বুঝতে পারেনি। তখন আমি বলেছি, আপনারা আমাকে জানিয়েছিলেন আমাদের ওসি সাহেব এসেছিলেন কেন্দ্র পরিদর্শনে। ওইদিন গ্রামবাসী আমাকে জানিয়েছিল যে, এমপি সাহেব ভোট চেয়েছেন, আজকে ওসি সাহেবও এসেছেন। আমি ওই দিনক্ষণটাকে উল্লেখ করার জন্য ওসি সাহেবের নামটা বলেছি। কিন্তু ওসি সাহেব তো ভোট চাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। আমার বক্তব্যের সামনে-পেছনের অংশকে বাদ দিয়ে ফেসবুকে ছড়ানো হয়েছে।

এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, ওসির ভোট চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাকে (আউয়াল) ডেকে আনা হয়েছিল। সে বলেছে ভুল করে সে ওসির কথা বলেছে। সে উল্টো এখন ক্ষমা চাইছে।

জেডআই/

Exit mobile version