Site icon Jamuna Television

‘মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায়’ বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় হেলালুল ইসলাম হেলাল (৪৩) নামে এক বিএনপি নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সকালে আলমডাঙ্গা উপজেলার যুগিরহুদা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত হেলালুল ইসলাম যুগিরহুদা গ্রামের মৃত একদিল বিশ্বাসের ছেলে। তিনি স্থানীয় খাদিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন বলে দাবি পরিবারের।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকালে বাড়ির অদূরে একটি মাঠে ধানের ক্ষেতে পানি দিচ্ছিলেন হেলালুল ইসলাম। সকাল পৌনে ৯টার দিকে ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে তার ওপর হামলে পড়ে। এ সময় তারা কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে ফেলে রেখে যায় হেলালুলকে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় হেলালুল ইসলাম।

নিহতের স্ত্রী রাজিয়া খাতুনের দাবি, বেশ কয়েক দিন আগে প্রতিবেশী মানিককে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আমার স্বামীকে দায়ী করে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে সদ্য হাজতমুক্ত মানিক। এরই এক পর্যায়ে শনিবার প্রকাশ্যে দিবালোকে মাঠে কাজ করা কৃষকদের সামনেই মানিকসহ তার ৪/৫ জন সহযোগী আমার স্বামীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করলো।

প্রতিবেশী তোফাজ্জেল ইসলাম জানান, মানিকসহ তার সহযোগিরা গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। বিএনপি নেতা হেলালুল ইসলাম গ্রামে মাদক বিক্রির বিরুদ্ধে সোচ্ছার ছিলেন। এর কয়েকদিনের মাথায় মানিক ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।

ঘটনার পর চুয়াডাঙ্গার অতিঃ পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কলিমুল্লাহ সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্ত মানিককে গ্রেফতারে ইতিমধ্যে পুলিশের দুটি টিম মাঠে নেমেছে। খুব শীঘ্রই মানিককে আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে বিএনপির এই নেতার মৃত্যুতে সদর হাসপাতালে ভীড় জমাতে থাকে বিএনপি ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুল হক মালিক মজু জানান, নিহত হেলাল ছিলেন শহীদ জিয়ার আদর্শের একজন নিবেদিত কর্মী। হেলালকে পূর্ব পরিকল্পনাভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি করেন তিনি।

Exit mobile version