Site icon Jamuna Television

শাবিপ্রবি’র আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ সক্রিয়, মন্তব্য ঢাবি শিক্ষক সমিতির

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি। এই আন্দোলনকে বিশেষ একটি মহল সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপান্তরের অপচেষ্টা করছে বলেও জানিয়েছে ঢাবির শিক্ষক নেতারা।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়, শাবিপ্রবিতে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ঢাবি শিক্ষক সমিতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে যে ধরনের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপিত হয়েছে তা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বাইরে তৃতীয় একটি পক্ষ এই আন্দোলনে ফায়দা হাসিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। একটি বিশেষ মহল এই আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপান্তরের অপচেষ্টা করছে বলে প্রতীয়মান হয় ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ১৩ জানুয়ারি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের বিভিন্ন ইস্যুতে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রীরা আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলন চলাকালে পুলিশের বল প্রয়োগের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উক্ত হলের প্রভোস্ট পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের মূল দাবি পূরণ হওয়া সত্ত্বেও উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের এই রূপান্তরের বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত এবং উদ্বেগের। যা খতিয়ে দেখার দাবি রাখে।

বিজ্ঞপ্তিতে ঢাবি শিক্ষক সমিতি জানায়, চলমান পরিস্থিতিতে গতকাল আন্দোলনকারীরা হঠাৎ করেই উপাচার্যের বাসার পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। যা অমানবিক এবং শিক্ষাঙ্গনের আন্দোলনে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত মাত্রা যুক্ত করেছে। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেকোনো সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাই বাঞ্ছনীয়।

ঢাবি শিক্ষক সমিতি শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। পাশাপাশি পুলিশি হামলায় কারো উসকানি আছে কিনা তা তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

Exit mobile version