Site icon Jamuna Television

ব্যালে ও জিমন্যাস্টের মিশেলে প্রতিবাদী ফটোগ্রাফি, যা বললেন মডেল ও ফটোগ্রাফার

সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলা ছবিগুলো।

ব্যালে ড্যান্স আর জিমন্যাস্টের মিশেলে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল, ফটোগ্রাফার জয়িতা ও তার ছবির মডেল ইরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোলা এসব ছবি এখন ঘুরছে নেটিজেনদের টাইমলাইনে। সাথে নানান বার্তা। কখনো প্রতিবাদ, কখনো সুন্দরের সাবলীল উপস্থাপনায় আবার কখনো নারী স্বাধীনতার।



ফ্রেমবন্দী স্থিরচিত্র নয়, সব ছবিরই থাকে নিজস্ব বার্তা। তেমনি কিছু ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। যেখানে এক তরুণীকে দেখা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আইকনিক স্পটে। ছবির মডেল মোবাশ্বিরা কামাল ইরা একজন ব্যালে নৃত্যশিল্পী। বাড়ি নওগাঁয়। জানালেন এসব ছবির পেছনের কথা। ব্যালে নৃত্যশিল্পী মোবাশ্বিরা কামাল ইরা বলেন, জয়িতা আপু চেয়েছিল যে সে তার গণ্ডির বাইরে বেরিয়ে নতুন কিছু ছবি তুলবে। আর আমি যেহেতু ফ্লেক্সিবল, আমাকে ও আপুর প্রতিভাকে প্রকাশ করার জন্যই জয়িতা আপুর ছবি তোলা।

ইরার ছবিগুলো তুলেছেন আলোকচিত্র শিল্পী জয়িতা তৃষা। স্পট নির্বাচনসহ ফটোশ্যুটের আইডিয়াটি বেরিয়েছে তার মাথা থেকে। তৃষা বলেন, আমি আসলে ঢাকার আইকনিক ব্যাপারগুলোকে তুলে ধরতে চেয়েছি, পাশাপাশি ব্যালে নৃত্যকেও প্রোমোট করতে চেয়েছি। চেয়েছি বাংলাদেশে যে ব্যালে চর্চা হয় সেটা যেন মেয়েরা জানে বা আগ্রহী হয় শেখার জন্য।

শাবিপ্রবির অনশনে যখন দেশের বিশ্ববিদ্যালগুলোর শিক্ষার্থীদের একাত্মতা প্রকাশ করছিলেন তখন তারুণ্য ও স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে সামনে এসেছে এসব ছবি। এতে ভালো লাগার পাশাপাশি বিস্মিত ইরা-তৃষা দুজনই। তৃষা বলেন, রাজু ভাস্কর্য এমনিতেই খুবই পাওয়ারফুল ভাস্কর্য, এটা একটা প্রতিবাদের ব্যানার। সেখানেই একটা মেয়ের পাখির মতো উড়ে যাওয়া, মানে আমার কাছে আইডিয়াটা খুবই মজার লেগেছে। আমি এই আইডিয়াটিই পোর্ট্রে করি। ইরাকে বললাম আইডিয়াটা। ইরা খুবই সাহসী মেয়ে, একই সাথে ও বুঝতে পারে যে আমি কী চাচ্ছি।

জয়িতার বিশেষ এ ফটোশ্যুট নিয়ে ইরা বলেন, জয়িতা আপুর সাথে আমার আগেও কাজ করা হয়েছে। আমরা একসাথে ধানমণ্ডি লেকে কাজ করেছি। আর, গত ২৪ তারিখ আমরা টিএসসিতে ছবি তুলেছি, কার্জন হলেও তুলেছি, সেই ছবিগুলো এখনও ছাড়া হয়নি। ইনশাআল্লাহ নেক্সটে ছাড়বো। আর আমরা কোনো প্ল্যান করে যাইনি, গিয়ে দেখি এত সুন্দর একটা কনসেপ্ট কিভাবে মিস করি! তো এজন্যই সেখানে ছবি তোলা।

জয়িতার কাছে ধ্যান, জ্ঞান, পেশা ছবি তোলা। পরিকল্পনা জানতে চাইলে জয়িতা বলেন, ছবি নিয়ে প্ল্যান হচ্ছে যে কাজ করে যাবো আসলে। আমি পপুলার বা ভাইরাল হওয়ার ইচ্ছে নিয়ে কোনো কাজ করিনা। আমার আসলে ভাল কাজ করা নিয়ে কথা যা আমার মনের খোরাক।


পরিকল্পনায় উল্লেখ করার মতো কিছু না থাকলেও ব্যালে পারর্ফমেন্স ও বাংলার প্রচলিত নৃত্যের মিশেলে বিশ্বকে অবাক করতে চান নওগাঁ সরকারি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইরা। বলেন, নাচ নিয়ে পড়াশোনা করবো। আমাদের দেশীয় যে নাচ ও বিদেশি নাচ ব্যালের সংমিশ্রণে নতুন কিছু তৈরি করা।

অন্যদিকে, ফটোগ্রাফার তৃষা চান সহজ ও স্বাভাবিক কাজের মাধ্যমেই মানুষের মনে জায়গা করে নিতে। বললেন, আমি ভালো লাগা থেকেই ছবি তুলে যাবো। বাংলাদেশে নারীর পথচলাটা আরও মসৃণ হবে, দূর হবে সকল বাধা এমন প্রত্যাশা দু’জনেরই।

/এসএইচ



Exit mobile version