Site icon Jamuna Television

ফেব্রুয়ারিতেই ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে পারে রাশিয়া, বাইডেনের শঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

ফেব্রুয়ারিতেই ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে পারে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউস জানায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আশঙ্কার কথা। একইসাথে হুমকি দেয়া, সমঝোতায় না ফিরলে বিচ্ছিন্ন করা হবে গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস পাইপলাইন। এমন হুঁশিয়ারিতে কোণঠাসা পরিস্থিতি ক্ষুব্ধ করে তুলেছে রুশ কূটনীতিকদের। তারা জানিয়েছেন, ভূ-রাজনীতির কৌশল হিসেবে ইউক্রেনকে ব্যবহার করছে পশ্চিমা দেশগুলো।

ইউক্রেন ইস্যুতে টানাপোড়েন যখন তুঙ্গে, সে সময় একের পর এক মহড়ার ভিডিও প্রকাশ করছে রাশিয়া। রোস্তোভ সীমান্ত থেকে বাল্টিক সাগর পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রুশ সেনারা। মোতায়েন করেছে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘এস ফোর হান্ড্রেড’।

পুতিন প্রশাসনের তোড়জোড় দেখে, ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে তৃতীয় দফা ফোনালাপ সেরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরপরই ফেব্রুয়ারি নাগাদ প্রতিবেশী ভূখণ্ডে রুশ অভিযানের আশঙ্কার কথা জানায় হোয়াইট হাউজ। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, ন্যাটো জোটে ইউক্রেনকে অর্ন্তভূক্ত না করার যে প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়া, সেটা এরইমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আশা করছি, ইস্যুটি নিয়ে নতুন কূটনীতি করবে না পুতিন প্রশাসন। তবে, সামরিক মহড়া, রণপ্রস্তুতি দেখে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে আগ্রাসন চালাতে পারে রাশিয়া।

এখানেই থেমে নেই মার্কিন এবং ন্যাটোর হুমকি-হুঁশিয়ারি। তারা জানান দিয়েছে, কিয়েভের ওপর বিন্দুমাত্র আঁচড় এলে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে আলোচিত গ্যাস পাইপলাইন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-ন্যাটোর সাথে রাশিয়ার বহু প্রতিরক্ষা ইস্যু সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে। আশা করছি, এবারও তাদের দাবি প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি বুঝবে মস্কো। তবে, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে বিচ্ছিন্ন করা হবে রাশিয়া-পশ্চিম ইউরোপের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস পাইপলাইন। এগোবে না ‘নর্ড স্ট্রিম-টু’ প্রকল্পের কোনো কাজ।

অবশ্য, ভয়ভীতিকে তোয়াক্কাই করছে না রাশিয়া। তাদের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক কূটকৌশলের হাতিয়ার হচ্ছে ইউক্রেন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা পরিষদের উপ-চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, ইউক্রেন মূলত যুক্তরাষ্ট্র আর ন্যাটোর হাতের খেলনা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভূ-রাজনীতির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে দেশটিকে। তেমনটা হলে, রুশ ও ন্যাটো সেনাদের মধ্যে খুব শিগগিরই ভয়াবহ সংঘাত বাধবে। সমাধানের বদলে, নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে উল্টো উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে পশ্চিমারা।

বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, সমঝোতার মাধ্যমে টানটান সামরিক উত্তেজনা নিরসন না করা গেলে ২০১৪ সালের পুনরাবৃত্তি দেখবে বিশ্ব। সে সময়, ব্যাপক সংঘাতে প্রাণ হারান ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। তার ওপর, গণভোটের মাধ্যমে ক্রাইমিয়া অঞ্চল নিজ ভূখণ্ডে অর্ন্তভূক্ত করে রাশিয়া।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে রাশিয়ার গ্যাস লাইন কেটে দেবে যুক্তরাষ্ট্র

Exit mobile version