Site icon Jamuna Television

কুড়িগ্রামে শৈত্য প্রবাহ, বেড়েছে জনদুভোর্গ


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামে কনকনে শীত আর উত্তরীয় হিমেল বাতাসের প্রভাবে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জেলার উপর দিয়ে। জেলার ১৬টি নদ-নদীময় প্রায় ৫ শতাধিকের উপর ছোট বড় চর-দ্বীপচরসহ শহুরে জীবনেও পড়েছে শীতের প্রভাব, বেড়েছে জনদুর্ভোগ।

শৈত্যপ্রবাহে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র ঠাণ্ডা আর ঘন কুয়াশার কারণে কাজে বের হতে পারছেন না দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


জেলা ত্রান ও পূণর্বাসন অফিস সূত্র জানিয়েছে, শীতার্তদের জন্য এখন পর্যন্ত জেলায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আরও ৩৫ হাজার ৭শ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারিভাবে জেলার ৯টি উপজেলায় প্রায় ৮০ হাজার কম্বল এবং ৬ হাজার অন্যান্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

প্রচন্ড ঠাণ্ডায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন জেলার শীতার্ত মানুষেরা। সকালে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। সন্ধ্যার পর ফাঁকা হয়ে যায় গোটা এলাকা। প্রতিদিন হাসপাতালে বাড়ছে নতুন নতুন রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশু এবং বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যাই বেশি বলে জানা গেছে।

সদর উপজেলার চর সারডোব এলাকার দিন মজুর রফিক বলেন, পেটের জ্বালায় আলু ক্ষেতে কাজ করি, বাতাসে হাত পা জমে যাচ্ছে, কিন্তু কাজ না করলে খাবো কি! তাই বাধ্য হয়ে কাজ করা।

একই গ্রামের গৃহবধূ বুলবুলি বেগম বলেন, ঠাণ্ডায় শিশুদের পাতলা পায়খানা হচ্ছে। এছাড়া জ্বর,সর্দি,কাঁশি তো লেগেই আছে।


কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক বুলবুল আহমেদ বলেন, শনিবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ৭.৫ ডিগ্রি এবং সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কয়েক দিন উঠানামা করবে। তবে আসন্ন ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

/এসএইচ

Exit mobile version