Site icon Jamuna Television

তরুণীর মৃত্যু: পরিবার বলছে খুন, পুলিশের দাবি আত্মহত্যা

রাজধানীর তুরাগে এক তরুণীর মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে ধূম্রজাল। পরিবার বলছে, তাদের মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। আর আসামিপক্ষ ও পুলিশ বলছে, আত্মহত্যা করেছে কাকলী। অবশ্য ঘটনার শুরু থেকে‌ থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ছিল প্রশ্ন।

২৬ জানুয়ারি তুরাগের বামনারটেকের একটি বাসার ৬ তলার আবুল হাসেমের ফ্লাট থেকে জান্নাতুল ফেরদৌস কাকলীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, মেয়েকে বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে আবুল হাসেম।

প্রায় তিন বছর আগে তিন সন্তানের জনক আবুল হাসেমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কাকলীর। দিন যত বাড়তে থাকে সম্পর্কের গভীরতাও বাড়ে। মৃত্যুর দুমাস আগে আবুল হাসেমের বাসায় চলে যান কাকলী। ওই বাসা থেকেই কাকলীর ঝুলন্ত মরহেদ উদ্ধার হয়। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জানতেন আবুল হাসেমের প্রথম স্ত্রী তাসলিমা আক্তারও।

এদিকে, ঘটনার শুরু থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কাকলীর পরিবার। শুধু তাই নয় মামলা লেখা নিয়েও তুরাগ থানায় ওইদিন রাতভর চলে নাটকীয়তা। নিহতের পরিবার বলেছে, তুরাগ থানার উপপরিদর্শক গোবিন্দ নিজের মত করে এজাহার লিখে স্বাক্ষর করতে চাপ দেন বাদীকে, যার একটি কপি যমুনা টেলিভিশনের হাতে এসেছে। তবে ওই এজাহারে স্বাক্ষর করেনি নিহতের পরিবার। যদিও পরে আবার এজাহারের লেখা পরিবর্তন করে মামলা নেয়া হয়। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করছেন এসআই গোবিন্দ।

এ নিয়ে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের মোবাইলে বার বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।

অবশ্য নানা নাটকীয়তার পর প্রধান আসামি আবুল হাসেমকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

/এডব্লিউ

Exit mobile version