Site icon Jamuna Television

হাত নেই তাই ভোট দেয়া হলো না শাহ আলমের

হাত ও পা নেই শাহ আলমের। একসময় মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানিগঞ্জ বাজারে মাছের ব্যবসা করতেন তিনি। একটি দুর্ঘটনায় ড্রেনে পড়ে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে কোনো এক অজানা রোগে ধীরে ধীরে দুটো হাত ও দুটো পা কেটে ফেলতে হয়। হাত-পা না থাকলেও কষ্টেসৃষ্টে পানের দোকান দিয়ে জীবন চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। নেই ভিটেমাটি, আছে অভাব। তাতেও দুঃখ ছিল না শাহ আলমের। তবে ইভিএম মেশিনে জীবনের প্রথমবার ভোট দিতে এসে দুঃখভরা মন নিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে।

হাত না থাকায় বায়োমেট্রিক কনফার্মেশন সম্ভব হয়নি ৩ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক শাহ আলমের। ফলে আগ্রহ থাকলেও ভোট দিতে পারেনি সে।

যদিও মুরাদনগর উপজেলার ১৪ নং নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বাখরনগর হাসেমিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মনির খানের আশ্বাস ছিল, ভোট দিতে পারবেন শাহ আলম। কিন্তু কিন্তু শেষপর্যন্ত তাকে ফিরে যেতে হলো ভোট না দিয়েই।

/এডব্লিউ

Exit mobile version