Site icon Jamuna Television

ইভ্যালির ভল্ট কেটে পাওয়া গেল ২৫০০ টাকা

খুব শীঘ্রই টাকা পাচ্ছেন না ইভ্যালির গ্রাহকরা। অডিট এবং সার্ভার ব্যবহার করতে না পারলে টাকা পরিশোধের কোনো সম্ভাবনা দেখছে না নতুন পরিচালনা পর্ষদ। এদিকে, গেটওয়ে এবং দুটি ব্যাংকে প্রায় ২৯ কোটি টাকা আছে বলে জানিয়েছে বোর্ড।

কী আছে ইভ্যালির ধানমন্ডির প্রধান কার্যালয়ের এই দু’টি ভল্টে? কেনো মিলছে না পাসওয়ার্ড? এমন নানা প্রশ্ন ঘুরছিল জনমনে। আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) অবশেষে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেই মিলল সকল প্রশ্নের উত্তর। তার সামনেই কাটা হয়েছে ভল্ট। কিন্তু ২৫০০ টাকা ও কিছু চেক বই ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় নি।

জনগণের শতকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কারাগারে ইভ্যালির সিইও রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। আটকে আছে গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা। এই অবস্থায় হাইকোর্টের নির্দেশে গঠন হয়েছে ৫ সদস্যের নতুন বোর্ড। দায়িত্ব নেয়ার পর ধানমন্ডির হেডঅফিসের দুটি লকার খোলার অনুমতি পান তারা। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশেই ভাঙ্গা হলো সেই লকার।

নতুন পরিচালনা বোর্ডের প্রধান জানালেন, গেটওয়েতে ও দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত আছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। নগদ আছে ৫ কোটি। এ ছাড়া ৩ গুদামে আছে প্রচুর অর্ডারের জিনিসপত্র। কিন্তু, কে কত টাকা পাবে, কোন অর্ডার কার, এই মুহূর্তে তা জানা সম্ভব না। তাই শীঘ্রই গ্রাহকদের টাকা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-ভ্যালির নাম দেশজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত। প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইতোমধ্যে ই-ভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে আছেন।

/এনএএস

Exit mobile version