Site icon Jamuna Television

এজলাসে যেমনটা ছিলেন ওসি প্রদীপ

ফাইল ছবি

সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের রায় সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ২টা ১৬ মিনিটে পড়া শুরু করেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল। এর আগে বেলা দুইটার দিকে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। ৩০০ পৃষ্ঠার রায় পড়তে বিচারক সময় নেন দুই ঘণ্টা মতো। এ সময় তিনি পুরো মামলায় আসামি, বাদী ও সাক্ষীদের বক্তব্যে উঠে আসা ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আসামি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ সাজাপ্রাপ্ত আসামি কার, কী অপরাধ বিস্তারিত তুলে ধরেন বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল। রায় শোনার পর খালাস পাওয়া আসামিরা এজলাসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে প্রদীপ ও লিয়াকত ছিলেন নির্বিকার।

এ হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বরখাস্তকৃত এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মাসহ ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া অন্যরা হলেন নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন। এই ৩ জনই টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী ছিলেন; তারা টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

সেই সাথে এপিবিএন এর এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল রাজিব ও মো. আবদুল্লাহ এবং পুলিশের এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে খালাস দেয়া হয়েছে। এই সাতজনকে সিনহা হত্যার ঘটনার পর বাহিনী থেকে বরাখাস্ত করা হয়েছিল।

আদালত প্রাঙ্গণে ছিল উৎসুক জনতার ভিড়। প্রদীপসহ আসামিদের প্রিজন ভ্যানে তোলে নিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত জনতা চিৎকার করতে থাকেন। অন্যদিকে এ সময় আসামিদের স্বজনেরা আদালত প্রাঙ্গণে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

Exit mobile version