Site icon Jamuna Television

যুক্তরাষ্ট্রে একটি আপেলের দাম ১২০ টাকারও বেশি!

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে ১টি আপেল বিক্রি হচ্ছে দেড় ডলারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২০ টাকারও বেশি। এছাড়া বাড়িভাড়া- যাতায়াত খরচসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে হু হু করে। রেকর্ড মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে বিপাকে আছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সুদহার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

করোনা মহামারির শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী অর্থনীতিতে আঘাত আসতে শুরু করে। একদিকে কমছে মুদ্রার মান অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জীবনযাত্রার ব্যয়। প্রায় প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। আকাশ ছোঁয়া দামে কিনতে হচ্ছে খাদ্যদ্রব্য। এ অবস্থায় বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, আমি শুধু মাছ কিনতে গিয়েছিলাম। যে মাছ আগে ২০ থেকে ২৫ ডলারে এক পাউন্ড পেতাম তা এখন ৪০ ডলার হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে মুরগী কিনে ফিরছি।

স্থানীয় আরও এক বাসিন্দা বলেন, মাসে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু কেনার উপায় নেই। স্বাভাবিক সময়ে যেসব পণ্য খুবই সস্তা ছিল তা এখন অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলের মধ্যে সবচেয়ে কম দামে পেতাম আপেল। কিন্তু এখন প্রতিটি আপেলের দাম রাখা হচ্ছে প্রায় দেড় ডলার।

চলতি বছরের শুরুতেই মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ শতাংশ পর্যন্ত। ১৯৮২ সালের পর যা সর্বোচ্চ। এই মন্দাভাব কাটিয়ে উঠতে সুদের হার বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল বলেন, বেশ কিছু দিন ধরেই খাদ্য, বাড়ি ভাড়া ও যানবাহন ব্যয় বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমাতে বেশ কিছু উদ্যোগ আমরা হাতে নিয়েছি। আশা করছি এই সংকট দীর্ঘ মেয়াদি হবে না। মার্চ মাস থেকে সুদের হার বাড়ানো হচ্ছে। আশা করি তখন সব কিছুর দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে।

এমন পরিস্থিতির জন্য করোনা মহামারিকে দায়ী করছে মার্কিন প্রশাসন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বেকারত্বের হার কমিয়ে দ্রুত শ্রম বাজার চাঙ্গা করার কথাও বলছে ওয়াশিংটন।

/এনএএস

Exit mobile version