করোনার ধাক্কা সামলে কর্মসংস্থান বাড়ছে বিদেশে। বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছরে প্রবাসে ৯ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর। এ লক্ষ্য পূরণে প্রচলিত বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু করার কথা বলছেন জনশক্তি রফতানিকারকরা। একই সাথে কর্মী দক্ষতা উন্নয়নে জোর দেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
প্রসঙ্গত, করোনা সংকটে সবচেয়ে বেশি চাপে পড়েন প্রবাসী কর্মীরা। নতুন কর্মসংস্থান তৈরির বদলে কাজ হারিয়ে দেশে ফেরেন অনেকেই। সেই ধাক্কা সামলে আরও সচল হয়েছে অভিবাসন খাত।
গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকেই বাড়তে থাকে বিদেশে কর্মসংস্থান। গত চার মাসে প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ কর্মী। এরমধ্যে শেষ দুই মাসেই গেছে প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার। এমন ধারা অব্যাহত থাকলে জুনের মধ্যে ৯ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর।
জনশক্তি রফতানিকারকরা বলছেন, করোনা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পরই বিদেশে কর্মীর চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে; এটি ধরে রাখতে হবে। এছাড়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলা জরুরি বলেও মনে করেন তারা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রবাসে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির বিষয়টি ইতিবাচক। তবে বিশ্বের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ কর্মী তৈরিতে ব্যর্থ হলে এটি ধরে রাখা যাবে না বলেও মনে করেন তারা। দক্ষ কর্মীর চাহিদা পূরণে সরকারকে আলাদা পরিকল্পনা নেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
Leave a reply