ইউক্রেনের সাথে জোরপূর্বক রাশিয়ার যুদ্ধ বাধাতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। আঞ্চলিক উত্তেজনা চলাকালে প্রথমবার এমন অভিযোগ করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মঙ্গলবার রাজধানীতে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সেখানেই পুতিন বলেন, যুদ্ধে জড়ালে মস্কোর ওপর নিত্যনতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ সহজ হবে। বেশ কিছুদিন ধরেই এ হুমকি-হুঁশিয়ারি দিচ্ছে পশ্চিমারা। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন একটি সত্যিকারের যুদ্ধ। যাতে ইউক্রেনকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘাত বাঁধলে দেশটির ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণনাশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মাথাব্যথা নেই- এমনটাও উল্লেখ করেন পুতিন।
গেলো বছরের শেষ নাগাদ রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে দেখা দেয় চাপা আঞ্চলিক উত্তেজনা। দু’দেশই মোতায়েন করে বিপুল সেনা, ভারি সামরিক সরঞ্জাম প্রতিদিন চালাচ্ছে মহড়াও।
পুতিন বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আসলে কোনো মাথাব্যথা নেই। তাদের মূল লক্ষ্যেই হলো রাশিয়াকে দমন করা। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইউক্রেন শুধু একটি হাতিয়ার। না চাইলেও রাশিয়াকে যুদ্ধের ময়দানে নামাতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে মস্কোর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ সহজ হবে যুক্তরাষ্ট্র-ন্যাটো-ইউরোপের দেশগুলোর জন্য। এ কারণেই ইউক্রেনে বাড়ানো হচ্ছে ন্যাটো সেনা, অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম।
আরও পড়ুন: করোনা: ৮ মাস পর দিনে ১১ হাজারের বেশি মৃত্যু দেখলো বিশ্ব
ইউএইচ/

