Site icon Jamuna Television

ঝিনাইদহে বেড়েই চলেছে রোটা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা, চিন্তিত অবিভাবক মহল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে রোটা ভাইরাস। মাত্র ৭ দিনে প্রায় অর্ধশত শিশু ভর্তি হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। রোটা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় অবিভাবক মহল চিন্তিত হয়ে পড়েছে। যদিও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দাবি এখনই চিন্তার কোনো কারণ নেই। তারা প্রস্তুত আছেন।

অবিভাবক মহলের সাথে কথা বলে জানা যায়, হঠাৎ তীব্র শীতের কারণে শিশুদের মাঝে সর্দি-কাঁশি ও জ্বরের সাথে পাতলা পায়খানা বা কোল্ড ডায়রিয়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যরা এই ধাক্কা সামাল দিতে পারলেও বাড়ির ছোট ও নতুন জন্ম নেয়া শিশুরা কোনোভাবেই সুস্থ থাকছে না। কারও কারও বমিও দেখা দিচ্ছে।

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, মাত্র ৭ দিনে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত শিশু ভর্তির সংখ্যা ৪১ জন।

উপজেলার ভিটস্বর গ্রামের রিয়া খাতুন জানান, তার মেয়ে ফাতেমার গত ৩দিন আগে ঘনঘন বমির সাথে পাতলা পায়খানা শুরু হয়। ওকে নিয়ে গত দুই দিন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এখন একটু ভালোর দিকে।

আলাইপুরের মিতু দাস বলেন, গত ৪দিন আগে হঠাতই মেয়ে মৌমিতার প্রচন্ড জ্বর আসে। ওই রাত থেকেই শুরু হয় ঘনঘন বমি ও পায়খানা। সে খুব দ্রুতই নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরদিন তাকে নিয়ে চেলে আসি হাসপাতালে। ডাক্তার বলেছে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে সম্পূর্ণ ভালো হতে।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও)  ডা. মাজাহারুল ইসলাম জানান, গত সাত দিনে হাসপাতালে মোট ৪১টি শিশু রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। তবে প্রতিদিনই নতুন করে শিশু রোগী আসছে হাসপাতালে। পরিস্থিতি বুঝে আমরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি। অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসায় স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। কিছু রোগীদের ভর্তিও করছি।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, হঠাৎ তীব্র শীতজনিত কারণে এমনটা হচ্ছে। তিনি বলেন, শীত আসলে শিশুরা নিউমোনিয়া, ঠান্ডা, কাঁশি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকে। অবিভাবকদের সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। কোনো ভাবেই বাচ্চাদের ঠান্ডা খাবার, শীতের পোশাক বাদে রাখা যাবে না। প্রচুর পানি পান করাতে হবে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত ঠান্ডায় বাইরেও বের করার দরকার নেই। আমরা একটু সাবধান হলেই ভালো থাকতে পারি। আর কোনোভাবেই ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতিত চিকিৎসা নেবেন বা দেবেন না। আক্রান্ত শিশুদের প্রচুর পরিমানে খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।

/এনএএস

Exit mobile version