Site icon Jamuna Television

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ: ঢাবি অধ্যাপকের জামিন মঞ্জুর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন। ছবি: সংগৃহীত

ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ডিএসএ মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও অপরাধ বিশ্লেষক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনকে আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।

অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ২০২১ সালের ১ আগস্ট মামলাটি করেন বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত ভৌমিক। পরে এটিকে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ডিবির সাইবার ক্রাইম ইউনিটে পাঠায় শাহবাগ থানা পুলিশ।

একই বছরের ২২ জুলাই হাফিজুর রহমান কার্জন ফেসবুকে একটি লেখা পোস্ট করেন। সেখানে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ উঠলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে লেখাটি মুছে ফেলে ক্ষমা চান৷

২০২১ সালের ২৫ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের পদত্যাগ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছিল বাংলাদেশ হিন্দু আইনজীবী পরিষদ। এ ঘটনার দুদিন আগে (২৩ জুলাই) অধ্যাপক কার্জন নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে মদ ও দুধ নিয়ে একটি কৌতুক পোস্ট করেছিলেন। ওই কৌতুকের মাধ্যমেই তিনি ধর্ম অবমাননা করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয় সেই স্মারকলিপিতে। সেখানে বলা, পোস্টটির মাধ্যমে অধ্যাপক কার্জন নিম্ন রুচি ও চিন্তার ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়াও পোস্টের মাধ্যমে তিনি যথেষ্ট পরিমাণে সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় মনোভাব, সর্বোপরি দেশের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতি কুরুচিপূর্ণ মনোভাব প্রকাশ করেছেন।

/এম ই

Exit mobile version