Site icon Jamuna Television

লক্ষ্য ছাড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি

ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, মূল্যস্ফীতির হার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অর্থাৎ যে হারে ব্যয় বাড়ছে, সেই হারে বাড়ছে না আয়। ফলে বিপদে পড়েছে নিম্নবিত্ত। মধ্যবিত্ত শ্রেণিও রয়েছে চাপের মুখে। কনজ্যুমার ফোরামের গবেষণা তথ্য বলছে, বছরের ব্যবধানে পণ্যমূল্য বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১০ ভাগ। সংস্থাটির মতে, বাজার ব্যবস্থাপনায় চলছে বিশৃঙ্খলা। এখান থেকে উত্তরণে সংস্কার আনা জরুরি।

বাজার জুড়েই ক্রেতার হা-হুতাশ। এমন পণ্য খুঁজে পাওয়া যাবে না যার দাম সহনীয়। চাল, তেল, ডাল থেকে শুরু করে ভোক্তার প্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্যই বেড়ে চলছে।

আয়ের পথ সংকুচিত হলেও ব্যয় বাড়ায় হাসফাঁস অবস্থা। দামের ওঠানামায় বাড়ছে নাভিশ্বাস। ২০২১ সালের বাজার দর বিশ্লেষণ করেছে কনজ্যুমার ফোরাম। সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন মালেক জানালেন, তাদের হিসেব অনুযায়ী, গড়ে বছরে পণ্যমূল্য বেড়েছে ১০ দশমিক ৪৬ ভাগ। হিসেব বলছে, ওই সময়ে চালের দাম বেড়েছে প্রায় ৮ ভাগ। আটা ময়দা সুজির দাম বেড়েছে ২০ ভাগের বেশি। প্রায় ১৪ ভাগ বেড়েছে ডালের দাম। ২০ ভাগের বেশি বেড়েছে চিনির দাম। ভোজ্যতেলের দাম প্রায় ১৬ ভাগ এবং গুঁড়া মসলার দাম বেড়েছে ১১ ভাগের বেশি।

মূল্যস্ফীতি যে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে তা স্বীকার করছে সরকারও। রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা বিবিএসর তথ্য বলছে, গেল ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছাড়িয়ে যায় ৬ অঙ্কের ঘর। অথচ চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৫ অংকের ঘরে মূল্যস্ফীতি ধরে রাখার আশ্বাস দেয় সরকার।

জনজীবনে স্বস্তি দিতে খোলা বাজারে ভর্তুকি দামে পণ্য বিক্রি করছে সরকার। তবে এ পণ্য চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

/এডব্লিউ

Exit mobile version