আসলেই কি মারামারি করে মরেছে সাফারি পার্কের জেব্রাগুলো?

|

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একমাসে ১১ জ্রেবার মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট হয়নি। বিশেষজ্ঞ কমিটি ব্যাকটেরিয়া ও জেব্রাদের নিজেদের মধ্যে মারামারিকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করলেও এখনও অনেক পরীক্ষার রিপোর্টই হাতে পায়নি তারা। এর আগে এনথ্রাক্স ভাইরাসে একটি বাঘের মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার মারা গেছে একটি সিংহ। পার্কজুড়ে অব্যবস্থাপনার ছাপ স্পষ্ট। অভিযোগ উঠেছে, নানা অনিয়ম আর অব্যবস্থাপানার কারণেই মারা যাচ্ছে একের পর এক প্রাণী।

হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে অতিথি এসেছিল পার্কে। যেন আফ্রিকা-বাংলাদেশ সেতুবন্ধন। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই বেঘোরে জীবন গেলো অতিথিদের। গেলো মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে মারা গেছে ১১টি জেব্রা।

মাসখানেক পর জানাজানি হলে মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে গঠন করা হয় বিশেষজ্ঞ কমিটি। দিন কয়েকের অনুসন্ধান আর ডাক্তারি পরীক্ষার পর তারা জানায় জেব্রাগুলোর মৃত্যু হয়েছে মূলত দুটি কারণে। যার একটি পাঁচ ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। আর অন্যটি নিজেদের মধ্যে মারামারি।

তবে এখনও বেশ কয়েকটি পরীক্ষা বাকি। খাবারে বিষক্রিয়া বা অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা বলা যাবে সব রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর।

সরেজমিনে জেব্রার মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত যাচাই কর গিয়ে দেখা যায়, পার্কের ভেতরে প্রায় সবখানেই অব্যবস্থাপনার ছাপ স্পষ্ট। জেব্রার সঙ্গে আছে শিংওয়ালা ওয়াইল্ড বিস্ট। যে খাবার জেব্রা খায়, তাতেই আবার মুখ দেয় বানর। আছে ব্যবস্থাপনা পর্ষদের মধ্যে বিরোধ। এই বিরোধ মাঝে মাঝে মারামারিতে রূপ নেয় বলে জানায় পার্ক সূত্র। এ নিয়ে ক্ষোভ আছে খোদ স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজেরও।

এত বড় ঘটনার সপ্তাহ দুই পর সাফারি পার্ক যান বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার ছাড়া আর কোনো অগ্রগতির খবর নেই তার কাছেও। আর এ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি পার্কের কর্মকর্তারা।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply