Site icon Jamuna Television

এতকিছুর পরেও কেন সাশ্রয়ী দামে কেনা যাচ্ছে না স্মার্টফোন?

করোনাকালে বিভিন্ন কারণে জরুরি হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন। কিন্তু বাজার চড়া। স্থানীয়ভাবে তৈরি মোবাইল সেটের দামও সাশ্রয়ী নয়। নির্মাতারা বলছেন, অবৈধ মোবাইল সেটে বাজার সয়লাব। ৪০ শতাংশ মোবাইলের বাজারই তাদের দখলে। কর ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে আসা এসব সেটের সাথে মূল্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে, স্থানীয়ভাবে তৈরি হ্যান্ডসেটের দামও সাশ্রয়ী হচ্ছে না।

ক্রমবর্ধমান হ্যান্ডসেটের চাহিদা পূরণ করতে পুরোপুরি আমদানি নির্ভরতা থেকে সরে আসে সরকার। নানাবিধ কর ও নীতি সুবিধা প্রসারিত করার মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে সেট তৈরির পরিকল্পনা নেয়া হয়। উদ্দেশ্য, গ্রাহক যেন সাশ্রয়ী মূল্যে স্মার্টফোন কিনতে পারে। কিন্তু বাজারের চিত্র ভিন্ন। কাঙ্ক্ষিত দামে মোবাইল কিনতে পারছে না গ্রাহক।

বেসরকারি উদ্যোক্তাদের হাত ধরে ২০১৮ সাল থেকে হ্যান্ডসেটের উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১৫টি প্রতিষ্ঠান পুরোদমে সেট উৎপাদন করে বাজারজাত করছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এডিসনের সিম্ফনি ব্র্যান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শহীদ মনে করেন, বাজার চাহিদার অর্ধেকটা চোরাকারবারীদের দখলে থাকায় দেশে তৈরি সেটের সুবিধা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। একই অভিযোগ টেকনোর সিইও রেজওয়ানুল হকেরও।

স্থানীয় কারখানাগুলোকে কাঁচামাল আমদানিতে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কর দিতে হয়। হাইটেক পার্ক ঘোষণার আওতায় আরও কিছু কর সুবিধা ভোগ করছেন বিনিয়োগকারীরা। অপরদিকে প্রস্তুতকৃত সেট আমদানি করার জন্য কর দিতে হয় ৩৫ শতাংশের বেশি। স্যামসাং পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফেয়ার গ্রুপের পরিচালক মেসবাহ উদ্দীনের মতে, এই কর সুবিধায় বৈশ্বিক জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোর বিনিয়োগ এসেছে ঠিকই। কিন্তু বিশ্বব্যপী কাঁচামাল এবং পরিবহন খরচ বৃদ্ধির ফলে কম দামে সেট বিক্রির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়নি।

প্রসঙ্গত, দেশে সাড়ে তিন কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের চাহিদার ৬৫ শতাংশের বেশি পূরণ হচ্ছে স্থানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে।

/এডব্লিউ

Exit mobile version