Site icon Jamuna Television

গত ১০ দিনে করোনায় মৃতদের ৭৮ শতাংশই দুই ডোজ টিকা নেয়া

প্রতীকী ছবি।

আখলাকুস সাফা:

গত ১০ দিনে করোনায় প্রাণ হারানো ৭৮ শতাংশই ছিলেন দুই ডোজ টিকা নেয়া। যাদের ২ জন নিয়েছিলেন বুস্টার ডোজও। মৃতদের ৬২ ভাগই ছিলেন অন্যান্য রোগে আক্রান্ত। তবে, সুস্থতার হারও বেড়ে হয়েছে ১২১ ভাগ। অন্যদিকে আবার কমেছে করোনা টেস্ট। সে অনুপাতে ৪৮ ভাগ বেড়েছে শনাক্ত হওয়া করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্য অধিদতরের তথ্য থেকে গত দশ দিনের করোনা পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করেছে যমুনা টেলিভিশন।

সেখানে দেখা যায়, ২৬ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে গেছেন গড়ে ১ হাজার ৬শ মানুষ। করোনার শ্বাসকষ্ট নিয়ে প্রতি ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে প্রায় ৬৮ জনকে। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে প্রাণ হারান ১৪০ জন। যাদের ৭৮ ভাগ ২ ডোজ টিকাই নিয়েছিলেন। বুস্টারও নেন ২ জন। ৩১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান ২২৬ জন। যাদের ৬৫ জন ভ্যাকসিন নেয়া, দুই ডোজই পেয়েছিলেন ৪০ জন।

কারণটা জানান করোনার বিভিন্ন ভেরিয়েন্ট, সেসবের মিউটেশন আর সামাজিক বিস্তার নিয়ে গবেষণায় থাকা ডা. শেখ মঈনুল। বলেন, করোনার টিকা গ্রহণ ভাইরাসটি প্রতিরোধের একটি অংশ মাত্র। কিন্তু একইসাথে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে না পারলে, সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়টি নিশ্চিত করতে না পারলে কিংবা মানুষকে হাত ধোয়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে না পারলে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেও লাভ হবে না।

দুই সপ্তাহে মারা যাওয়া ৩৬৬ জনের ২০৩ জনই ছিলেন অন্যান্য নানা রোগে আক্রান্ত। সবচেয়ে বেশি ছিলেন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, বক্ষব্যাধি আর কিডনিরোগে আক্রান্ত।

জানুয়ারির শেষ আর ফেব্রুয়ারির শুরুতে করোনা পরীক্ষা কমেছে সাড়ে ৭ ভাগ। ওদিকে থেমে নেই সংক্রমণ। তবে, এসময় সুস্থ্যতার হারও বেড়েছে ১২১ ভাগ। বেশিরভাগ সুস্থ হয়ে উঠছেন হোম আইসোলেশনে। সরকার বলেছে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই। যদিও সারাদেশে হাসপাতালে আইসিইউ বেড খালি ১ হাজার।

পরীক্ষা না করিয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে বেড়ানোদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। বোঝাও যাচ্ছে না আরও কত আক্রান্ত হবেন করোনার এই তৃতীয় ঢেউয়ে। তাই কন্টাক্ট ট্রেসিং আর স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প দেখছেন না গবেষকরা।

জেডআই/

Exit mobile version