Site icon Jamuna Television

রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরব বাংলাদেশের বৌদ্ধরা

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা-নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে তা বন্ধের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়। এমন নিপীড়নের মাধ্যমে মানবিকতা ও গৌতম বুদ্ধের ধর্ম দর্শনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের।

হিংসা-হানাহানি দেখে রাজপ্রাসাদ ছেড়ে বনে গিয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধ। আড়াইহাজার বছর আগে অহিংসার ও শান্তির বাণী প্রচার করে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তন করেন তিনি। ভারতীয় উপমহাদেশসহ পৃথিবীতে এই মতের অনুসারী সংখ্যা ১৬০ কোটিরও বেশি।

মিয়ানমারের বেশিরভাগ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। অথচ সেখানেই অন্য ধর্মের মানুষের ওপর নির্যতান হচ্ছে কয়েক শতাব্দী ধরে। সর্বশেষ শুরু হওয়া নির্যাতনে এবং এর ফলে লাখ লাখ রোহিঙ্গা জন্মভূমি ত্যাগে বাধ্য হওয়ায় চিন্তিত বাংলাদেশের বৌদ্ধ সমাজ।

সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজ’র মুখ্য সমন্বয়ক অশোক বড়ুয়া বলেন, একজন বৌদ্ধ হয়ে কোনো প্রাণির প্রতি, মানুষের প্রতি নৃশংস আচরণ করতে পারে না। মিয়ানমারে যে নিষ্ঠুরতা হচ্ছে আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।

বৌদ্ধ ধর্মে প্রাণী হত্যাকে মহাপাপ বলা হয়। সেই ধর্মের অনুসারীরাই বুদ্ধের বাণী ভুলে মেতেছে হত্যাযজ্ঞে। রাজধানীর মেরুল বাড্ডা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার অধ্যক্ষ ধর্মানন্দ মহাথেরো বলেন, মিয়ানমারের কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেও সমর্থন করা যায় না। আমরা চাই তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া বলেন, ধর্ম ধর্মের মতো চলবে, রাষ্ট্র রাষ্ট্রের মতো চলবে। কিন্তু অনেক সময় ধর্মকে রাষ্ট্রের স্বার্থে ব্যবহার করা হয়। মিয়ানমারে এখন সেটাই করছে সে দেশের সরকার।

/কিউএস

Exit mobile version