Site icon Jamuna Television

মূলধারায় মিশে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা

মূলধারার জনস্রোতে মিশে যাচ্ছে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা। শরণার্থী ক্যাম্পের বাইরে টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন গ্রামে বসবাস শুরু করেছে অনেকেই। আবার তারা ছড়িয়ে পড়ছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। অনেকেই চলে গেছেন কক্সবাজার সদরে। কেবল তাই নয়, এ দফায় আসা রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ চলে যাচ্ছেন চ্ট্টগ্রাম ও নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায়। ব্যবসা বাণিজ্য করার পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ভর্তি হয়েছেন এ জনগোষ্ঠির অনেক সদস্য।

কক্সবাজারের হ্নিলা ইউনিয়নের রাংগিখালি গ্রামে গত পনের দিনে বাড়ি ভাড়া নিয়েছে ৫০ টির মত রোহিঙ্গা পরিবার। অর্থনৈতিক অবস্থা একটু ভাল, তাই শরণার্থী শিবিরে থাকতে চাননি তারা। স্থানীয় আবু শামার বাড়িতেই থাকছেন ৫টি রোহিঙ্গা পরিবার।

মাসিক দু’হাজার টাকা ভাড়ায় এরকম অনেকেরই ঠিকানা এখন এই রাংগিখালি। কেবল তাই নয়, আশপাশের অন্যান্য গ্রামগুলোতে বসতি গড়েছেন বা গড়ার চেষ্টা করছেন মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা অনেক পরিবার।

কক্সবাজার ও বান্দরবানের ৯৩টি পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকেছে এবং এখনো ঢুকছে। তাদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ প্রতিদিন চলে যাচ্ছেন ক্যাম্পের বাইরে বিভিন্ন এলাকায়।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সৈয়দ নূর ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে। একটি এনজিও’র অর্থায়নে কম্পিউটার ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পড়ছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের সিগাইরে আটক করা হয়েছে ২০ জন রোহিঙ্গাকে। তারা সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢুকে টেকনাফ থেকে মানিকগঞ্জে চলে আসেন।

এভাবে রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা জানেন জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। তবে এভাবে ছড়িয়ে পড়া রোধে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এই সুযোগে অনেকে মিশে যাচ্ছে বাংলাদেশের মূলধারার জনগোষ্ঠির সাথে।

/কিউএস

Exit mobile version