Site icon Jamuna Television

আফগানিস্তানের স্বাস্থ্যখাতে চরম বিপর্যয়

ছবি: সংগৃহীত

মীর মুশফিক আহসান:

চরম অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভেঙে পড়েছে আফগানিস্তানের স্বাস্থ্যখাত। বিশেষ করে যখন দেশজুড়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, তখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক করোনা হাসপাতাল। ৩৮টি বিশেষায়িত হাসপাতালের মধ্যে মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ৩৩টি। অক্সিজেনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামেরও দেখা দিয়েছে তীব্র সংকট। এখনও টিকার আওতার বাইরে রয়েছেন দেশটির চারভাগের তিনভাগ মানুষ।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো করোনার বিস্তার বেড়েই চলেছে আফগানিস্তানে। প্রতিদিনই হাসপাতালগুলোতে ভিড় বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের। গেলো দুই সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। কর্তৃপক্ষ বলছে, বিভিন্ন হাসপাতালে প্রতিদিন মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি হচ্ছেন গড়ে শতাধিক রোগী।

তবে অর্থনৈতিক সংকটের ধাক্কা লেগেছে আফগানিস্তানের স্বাস্থ্যখাতে। ওষুধ, অক্সিজেন, ভেন্টিলেটরসহ করোনা চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামের দেখা দিয়েছে তীব্র সংকট। বিভিন্ন হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন-ভাতা। কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা বিশেষায়িত ৩৮টি হাসপাতালের মধ্যে বন্ধ ৩৩টিই।

কাবুল সেন্ট্রাল হসপিটালের সার্জন ডা. মোহাম্মদ গুল জানান, গেলো মাস থেকেই পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। তবে গত দুই সপ্তাহে পরিস্থিতির সবচেয়ে অবনতি হয়েছে। অক্সিজেন, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে। গত তিনমাস ধরে এই হাসপাতালের চিকিৎসক এবং স্টাফরা কোনো বেতন পাচ্ছেন না। অনেকেই চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই এই হাসপাতালও বন্ধ করে দিতে হবে।

এদিকে মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশটির ভ্যাকসিন কার্যক্রমও। আফগানিস্তানে প্রায় ৪ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র এক কোটি এসেছে টিকার আওতায়।

আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. জাভিদ হাজহির বলেন, বর্তমানে আমাদের ৩৫ লাখ ভ্যাকসিন মজুদ আছে। ভবিষ্যতে আরও ৫০ লাখ টিকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিভিন্ন দেশ এবং সংগঠন। আশা করছি পরিস্থিতি দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

তালেবান আফগানিস্তানে সরকার গঠনের পর দেশটির রিজার্ভের প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার আটকে দিয়েছে পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ। অন্যদিকে বন্ধ রয়েছে সহায়তা। তাই চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে দেশটি।

ইউএইচ/

Exit mobile version