Site icon Jamuna Television

হ্যান্ডসেট রফতানিতে বিশ্ববাজারে হাব হতে পারে বাংলাদেশ

মোবাইল হ্যান্ডসেটে একসময় পুরোপুরি আমদানিনির্ভর ছিল বাংলাদেশ। মাত্র ৪ বছরে পাল্টে গেছে সেই চিত্র। নিজস্ব চাহিদার সিংহভাগই এখন পূরণ হচ্ছে স্থানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে। প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, উৎপাদন সক্ষমতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় রফতানি বাজারে বৈশ্বিক হাব হতে পারে বাংলাদেশ। এ জন্য দীর্ঘমেয়াদী নীতি সুবিধা এবং যুগোপযোগী কর কাঠামো তৈরির পরামর্শ হাইটেক উদ্যোক্তাদের।

বর্তমানে দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার হচ্ছে ১২ কোটির বেশি। বছরে চাহিদা সাড়ে তিন কোটি। আর এই চাহিদার ৭০ শতাংশ পূরণ হচ্ছে স্থানীয়ভাবে। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে মোট ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কারখানায় উৎপাদন হচ্ছে এসব হ্যান্ডসেট।

‘স্বল্পমূল্যের’ হ্যান্ডসেট উৎপাদন থেকে সরে আসছে চীন। দেশটির আউটসোর্সিং ব্যবসার সুযোগ নিয়েছে ভারত ও ভিয়েতনাম। বাংলাদেশেরও এই সম্ভাবনা কাজের লাগানোর বিশাল সুযোগ আছে। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলছেন, ভিয়েতনাম বা ভারতের মতো মোবাইল ফোনের বিশ্ব বাজারের হাব হতে পারে বাংলাদেশ।

বিশ্বে বছরে ২২০ কোটি হ্যান্ডসেটের চাহিদা রয়েছে। যার মধ্যে ৯৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করছে গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলো। স্থানীয় উৎপাদনকারী সিম্ফনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শহীদ মনে করেন, বাংলাদেশের সামনে আছে মোট চাহিদার ২০ কোটি হ্যান্ডসেট রফতানির হাতছানি। টাকার অঙ্কে যা ৬০ হাজার কোটি। আর এ বাজার ধরতে সহায়ক কর কাঠামো চান উদ্যোক্তারা। কর সুবিধার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী নীতি প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছেন হাইটেক উদ্যোক্তারা।

২০১৭ সালে দেশে হ্যান্ডসেট তৈরির কাজ শুরু হয়। বর্তমানে উৎপাদনের সাথে জড়িত আছে ৬০ হাজারের বেশি কর্মী।

/এডব্লিউ

Exit mobile version