Site icon Jamuna Television

স্ত্রীর সাথে অভিমান, লাইভে এসে স্বামীর আত্মহত্যা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর:

রংপুরে স্ত্রীর সাথে অভিমানের পর ফেসবুক লাইভে এসে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন ইমরোজ হোসেন রনি (২৮) নামের এক যুবক।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ঘটনাটি রংপুরের পীরগাছের ছাওলা ইউনিয়নের। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

পুলিশ এবং পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের নিজতাজ গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে ইমরোজ হোসেন রনির (৩০) সাথে বছর চারেক আগে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের পশ্চিম হাগুরিয়া হাসিম গ্রামের দিনমজুর বাদল মিয়ার কন্যা শামীমা ইয়াসমিন সাথীর। চার বছরের সংসারজীবনে তাদের আবু শাকিব রিশাদ নামে দুই বছরের একটি পুত্রসন্তান আছে। এর মধ্যেই রনির স্ত্রী তার তার কাছে দেনমোহরের ৫ লাখ টাকা এবং তার বাবা-মায়ের ভরণপোষণ দাবি করে। এতে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যান স্বামী রনি। পরে গত বুধবার রনির পরিবারের কাউকে না জানিয়ে পার্শ্ববর্তী রতনপুর গ্রামে চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যান সাথী। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্ত্রীকে আনতে রনি চাচা শ্বশুরের বাড়িতে যান। কিন্তু সেখানেও সাথী একই দাবিতে অনড় থাকেন।

এরপর শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন রনি। ফেসবুক লাইভে রনি বলেন, আমার স্ত্রী আমাকে না বলে তিন দিন আগে তার চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যায়। আমি আনতে গেলে তারা আমার নিকট দেনমোহরের ৫ লাখ টাকা এবং তার বাবা-মায়ের ভরণপোষণ দেওয়ারও দাবি করে। আমি এখন ফেসবুক লাইভে এসে বিষপানে আত্মহত্যা করবো। আমার মৃত্যুর জন্য আমার স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও ভায়রা এমদাদুল হক দায়ী। একথা বলে একটি সাদা বোতলের মুখ খুলে বিষপান করেন রনি।

খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন মুমূর্ষ অবস্থায় রনিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই শনিবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রনি।

এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র বলেন, ওই যুবক লাইভে এসে শ্বশুরপক্ষের কয়েকজনকে দায়ী করে বিষপান করেছেন। মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে রোববার রাতেই তিনি মারা যান। লাশ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো মামলা করেনি।

জেডআই/

Exit mobile version