Site icon Jamuna Television

দাড়ি-গোঁফ কাটতে সোনার ক্ষুর!

ছবি: সংগৃহীত

ব্যবসা চালাতে গিয়ে ক্রেতা বা গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে দোকানিরা অনেককিছুই করে থাকেন। খদ্দের টানতে অবিনাশ নামে এক নাপিত অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন। গোঁফদাড়ি কামাতে আস্ত একটি সোনার ক্ষুর কিনেছেন তিনি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

খবরে বলা হয়, সেলুনের মালিক অবিনাশের কাছে প্রত্যেক খদ্দেরই ‘স্পেশাল’! এ জন্য সেলুনে আসা লোকজনের গোঁফদাড়ি কামানোর জন্য একটি ‘সোনার ক্ষুর’ কিনেছেন তিনি। ব্যবসা বাড়াতে প্রচার যে অন্যতম হাতিয়ার, তা ফের বোঝাচ্ছেন পুনের চিঞ্চওয়াড় শহরের এই নাপিত। গোঁফদাড়ি কাটার কাজে আট তোলা ওজনের সোনার ক্ষুর ব্যবহার করছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবিনাশের এই অভিনব কাজ হইচই ফেলে দিয়েছে।

অবিনাশ জানিয়েছেন, প্রায় ৮০ গ্রাম ওজনের সোনার ক্ষুরটি তিনি প্রায় চার লাখ টাকা দিয়ে কিনেছেন। কিন্তু গোঁফদাড়ি কাটতে হঠাৎ কেনো সোনার ক্ষুর কিনতে গেলেন তিনি! অবিনাশের দাবি, তার সেলুনে আসা প্রতিটি খদ্দেরই ‘স্পেশাল’। এ কারণে সোনার ক্ষুর ব্যবহার করা শুরু করেছেন তিনি।

সেলুনে সোনার ক্ষুরে গোঁফদাড়ি কাটা হয়, সে কথা ঘটা করে প্রচারও করছেন অবিনাশ। সম্প্রতি সেলুন উদ্বোধনে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক গোপীনাথকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। এমন প্রচারের হাতেনাতে ফলও পাচ্ছেন অবিনাশ। ধীরে ধীরে তার দোকানে খদ্দের বাড়ছে।

সাংবাদিকদের কাছে অবিনাশ বলেছেন, সোনার ক্ষুর দিয়ে গোঁফদাড়ি কামানোয় সাধারণ মানুষজন নিজেকে ‘স্পেশাল’ বলে মনে করবেন। যাদের বেশি টাকাপয়সা নেই, তারাও সোনার ক্ষুর দিয়ে গোঁফদাড়ি কামাতে পারবেন।

অবিনাশের চার লাখ টাকা দামের ক্ষুরে গোঁফদাড়ি কামাতে খদ্দেরদের কত লাগবে, গণমাধ্যমে সেটাও জানিয়েছেন তিনি। অবিনাশ বলেন, আমার সেলুনে সোনার ক্ষুর দিয়ে দাড়ি কাটার খরচ মাত্র ১০০ রুপি!

ইউএইচ/

Exit mobile version