Site icon Jamuna Television

পাকিস্তানে কোরআন পোড়ানোর ‘অভিযোগে’ পিটিয়ে হত্যা, ঝুলানো হলো গাছে

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র কোরআনের পৃষ্ঠা পুড়িয়ে ফেলার দায়ে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দেশটির একদল জনতা। শনিবার রাতে পাঞ্জাবের প্রত্যন্ত এক অঞ্চলে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। খবর আল জাজিরার।

প্রদেশের খানেওয়াল জেলার তুলামবা এলাকায় স্থানীয় গ্রামবাসীরা ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জনতা এবং হত্যাকাণ্ডে দর্শকের ভূমিকায় থাকা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, পিটিয়ে হত্যার এই ঘটনা কঠোর আইনে মোকাবিলা করা হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে।

দেশটির সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, পিটিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৬০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে অন্যান্য সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

পাঞ্জাব পুলিশের কর্মকর্তা মুনাওয়ার হুসাইন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, শনিবার রাতে তুলামবা গ্রামের মসজিদের ইমামের ছেলে ওই ব্যক্তিকে পবিত্র কোরআনের পৃষ্ঠা পুড়িয়ে ফেলতে দেখেছেন বলে ঘোষণা দেন। তার এই ঘোষণার পর গ্রামের বাসিন্দারা মসজিদে জড়ো হন। এ সময় উত্তেজিত জনতা ওই ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেয়।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে অবচেতন অবস্থায় গাছের সাথে বাঁধা পায়। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা পুলিশের ওপরও হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা হুসাইন। তিনি বলেন, গ্রামবাসীরা তাকে লাঠিসোটা, কুঠার ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে এবং একটি গাছে ঝুলিয়ে দেয়।

পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইনে ধর্ম অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের সাজা থাকলেও মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে প্রায়ই এই ধরনের ঘটনা ঘটে।

গত বছরের ডিসেম্বরে ধর্ম অবমাননার দায়ে পাকিস্তানের শিয়ালকোটে শ্রীলঙ্কান এক কারখানা কর্মীকে পিটিয়ে এবং পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। তখন ইমরান খান এই ঘটনা পাকিস্তানের জন্য লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছিলেন।

ইউএইচ/

Exit mobile version